বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
রাজ্যের অন্যতম সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা সাইবার মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিজ হওয়া টাকা কোন প্রতারিত ব্যক্তির, সেটা প্রমাণ করাই কঠিন। ফলে, কোটি কোটি টাকা সিজ করেও আইনি জটিলতায় ফেরানো মুশকিল হচ্ছে। রাজ্যে এই ধরনের অনেক মামলা রয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার অপরাধীদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। প্রতারণা করার পর তারা প্রথমে একটি ভার্চুয়াল ওয়ালেটে টাকা রাখে। কিছুক্ষণ পর অন্য কোম্পানির দুই থেকে তিনটি ওয়ালেটে টাকা ট্রান্সফার করে দেয়। চতুর্থ ধাপে সেখান থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে। ভুয়ো নামের আলাদা আলাদা সিমকার্ড দিয়ে তাদের ভার্চুয়াল ওয়ালেট খোলা থাকে। অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করার পরই সিমকার্ডগুলি নষ্ট করে দেয়। ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, একদিনে বেশি টাকা তোলা যায় না। তাই অপরাধীরা রাতেই এটিএম থেকে টাকা তোলে। তারা রাত ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ এক দফায় টাকা তোলে। রাত ১২টা পার হলেই দ্বিতীয়বার। ফলে, ৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’দিন পেয়ে যায়।
সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হলেই পুলিস তদন্ত শুরু করে। নোটিস পাঠিয়ে প্রথমে ভার্চুয়াল ওয়ালেটগুলিকে সিজ করে। তারপর অপরাধীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অপরাধীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ভার্চুয়াল ওয়ালেট সিজ করে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে মোট ৩৫ কোটি টাকা সিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ভার্চুয়াল ওয়ালেটে সিজ হয়ে পড়ে রয়েছে।
সিজ করা অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারিতকে টাকা ফেরানোর জন্য কোর্ট অর্ডার লাগে। কিন্তু, ভার্চুয়াল ওয়ালেট থেকে ব্যাঙ্কে টাকা ট্রান্সফারের জন্য প্রতারিতের কোনও রেকর্ড থাকে না। দ্বিতীয়ত, ওই ওয়ালেটগুলিও অন্য নামে থাকে। তাই সিজ করা অ্যাকাউন্টে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেই টাকা কোন প্রতারিতের, তা প্রমাণ করা মুশকিল হচ্ছে। তাই ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না।