বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
কীভাবে এই কালোবাজারি প্রকাশ্যে এল? পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেহালার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় তার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে যান ওষুধের দোকানে। স্থানীয় এক দোকানদার তাঁর কাছে সিলিন্ডার বাবদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা চান বলে অভিযোগ। ওই দামে সিলিন্ডার নিতে বাধ্য হন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে তিনি মেল করেন কলকাতা পুলিসকে। উত্তর কলকাতার সিঁথির এক বাসিন্দাকে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সপ্তাহখানেক আগে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁকে জোগাড় করতে হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। তবে পুলিসের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেননি তিনি। বাগবাজার, যাদবপুর, বেহালা সহ শহরের একাধিক জায়গায় সাধারণ মানুষকে একই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। পরিবারের কেউ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় পড়লে চড়া দামে আনতে হচ্ছে সিলিন্ডার। অনেকে আবার বাড়িতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্যও অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া করছেন বাড়তি দাম দিয়ে।
পুলিস আধিকারিকদের বক্তব্য, করোনার কারণেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষজন। পালস অক্সিমিটার কিনে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপছেন অনেকে। সামান্য সমস্যা হলেই বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসছেন। করোনার জন্য হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে বাজারে কিছুটা হলেও টান পড়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার লাইসেন্স রয়েছে, এমন দোকানে তা অমিল। আর পাওয়া গেলেও আট থেকে দশ গুণ বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার মাসিক ভাড়ায় নিতে হলে দিতে হয় ৫০০ টাকা। কোথাও কোথাও এই রেট সাতশো থেকে আটশো টাকা। জমা রাখতে হয় আরও এক হাজার টাকা। আর কেউ কিনে নিতে চাইলে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকার কাছাকাছি। অথচ এই বাজারে এই পাঁচ-সাতশো টাকার প্রাণবায়ুই বিকোচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়।
অসাধু ব্যাবসায়ীরা কীভাবে নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে? জানা গিয়েছে, দালাল মারফত এই কাজ চলছে। অক্সিজেন রাখার লাইসেন্স রয়েছে, এমন দোকানের সামনে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দোকানদারদের একাংশের সঙ্গে তাদের যোগসাজস আছে। সুযোগ বুঝে টোপ দেওয়া হচ্ছে সিলিন্ডার নিতে আসা ব্যক্তিদের। তাঁদের বলা হচ্ছে, অক্সিজেন মিলবে, তবে দিতে হবে বাড়তি দাম। রাজি হলে ফোনে ফোনেই সব কাজ হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার। এমনিতে দোকানের সামনের বোর্ডে লেখা থাকছে সিলিন্ডার নেই। অথচ বাড়তি দাম দিলে সেখান থেকেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক সিলিন্ডার। কালোবাজারি আটকাতে তাই এবার চলছে তথ্য সংগ্রহের কাজ।