বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
শিক্ষাবিদ তথা সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, স্কুল শিক্ষায় সেমেস্টার প্রথা চালু করা হলে তাতে গভীরতা হ্রাস পাবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল শিক্ষাকে সেমেস্টারে ভাগ করা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। উচ্চশিক্ষায় একটিমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকলে শিক্ষার কেন্দ্রীকরণ সম্পূর্ণ হবে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র। গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত করছে এই নীতি। এছাড়াও মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণার উন্মেষ ঘটাতে সাহায্য করবে এই নীতির বিভিন্ন দিকগুলি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ এবং কোঠারি কমিশনের সুপারিশ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারের ধারণাকে নস্যাৎ করছে এই নীতি। এই নীতি স্বৈরতান্ত্রিক এবং তা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে। ১০০ বছর পিছিয়ে যাবে শিক্ষাব্যবস্থা। যদিও রাজ্যের শিক্ষা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সমীরকুমার ব্রহ্মচারী বলেন, এই নীতির সঠিক দিশা রয়েছে বলেই মনে করি। এতে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন বলবৎ করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার কিন্তু কমিশনের সুপারিশ মেনে ইতিমধ্যেই তা কিছুটা কার্যকর করতে শুরু করেছে। ইংরেজি রেখে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষায় পাঠদানের সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয়। উচ্চশিক্ষাতেও বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস বলেন, এই নীতিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার খর্ব হয়, তাহলে অন্যদিকে কলেজগুলির স্বাধীনতা অনেকটাই বাড়বে। বিষয়টি পরিপূরক। শিক্ষাব্যবস্থাকে কেরানি এবং শিক্ষকতাকে চাকরি তৈরির কারখানা বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। সেই ব্যবস্থা বদলাবে এই নীতিতে।