বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
নবান্ন সূত্রের খবর, ওই ৫০ হাজার একর জমিতে চাষ, প্রাণীপালন, মৎস্য পালন, পোলট্রি, ওষুধি গাছ সহ হরেক প্রকল্প রয়েছে। চাষের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য উপযুক্ত মাটি পরীক্ষা ও সেচের ব্যবস্থা করা হবে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে এখানে অসংখ্য পুকুর কাটা হবে। একইসঙ্গে পাহাড়ের কোলে জলাধার তৈরি করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ওই পুকুরগুলিতে মাছ চাষে যাবতীয় সহযোগিতা করবে রাজ্য। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তরফে এখানে বিশেষ পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও স্থানীয় প্রাণীপালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে। জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনা রূপায়ণে পঞ্চায়েত, উদ্যানপালন, ক্ষুদ্র সেচ, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, কৃষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সহায়তা নেওয়া হবে। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাস্তরে জমি চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি জেলায় এই প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকে এই প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবে শুরু হয়েছে বলে জানান ওই কর্তা।
পিছিয়ে পড়া ওই জেলাগুলির আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই পরিকল্পনা। সেখানে জেলা প্রশাসনের থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তথ্য তলব করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পতিত এই জমিতে তৈরি করা যাবতীয় কার্যকলাপের ভার পরবর্তী সময়ে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেবে রাজ্য। অর্থাৎ আগামী দিনে সেখানে উৎপন্ন ফসল, ফল, মাছ, প্রাণীজসম্পদ সহ যাবতীয় দ্রব্য বিক্রি করে রোজগার করতে পারবেন স্থানীয়রা। যদিও গোটা বিষয়ে সরকারি নজরদারি থাকবে। শুধু তাই নয়, এই পরিকল্পনা রূপায়ণে প্রাথমিক যাবতীয় স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ জোগাবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি প্রকল্প ভেদে সরকারি অফিসাররা এ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। সব মিলিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের এই ছয় জেলার বিকাশে নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।