বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল রেখে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেজন্য মূলত সপ্তাহান্তে ছুটির দিন, শনি ও রবিবার সম্পূর্ণ লকডাউন করার পক্ষপাতী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী ঘোষণাও করেন প্রথমে। কিন্তু ঈদ, রাখীবন্ধন, স্বাধীনতা দিবস, গণেশ চতুর্থী এবং মহরমের কারণে দিন নির্ধারণের সেই সূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়। কিছু বদল করে ফের চূড়ান্ত তালিকা জানিয়ে দেন মমতা নিজেই। সেই তালিকাও রাতে পরিবর্তিত হয়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সম্পূর্ণ লকডাউনের ওই দিনগুলিতে অফিসকাছারির পাশাপাশি রেল ও বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। তার জন্য নবান্নের তরফে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রথম দিনে বিমান ও ট্রেন চলাচল করায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অবশ্য তা বন্ধ করে দেয় ওই দুই মন্ত্রক।
অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত ঘোষণা হলে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে পরিবারকে। নানা বিধির ফাঁস ও টালবাহানায় শবদেহ পাচ্ছেন না আত্মীয়-পরিজনরা। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মৃতের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এদিন সেই ভোগান্তি কিছুটা হলেও দূর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণা, এবার থেকে এরকম মৃত্যুর ক্ষেত্রে আইসিএমআর প্রোটোকল অনুযায়ী শবদেহ দেখার সুযোগ পাবেন পরিজনরা। করোনা উপসর্গ না থাকলে মৃতদেহও পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। আর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করতে হবে না। তবে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়ে দেন, আইসিএমআরের বিধি অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত ও করোনা সন্দেহে মৃতদের ‘বডি ডিসপোজাল’ পদ্ধতি অভিন্নই। অর্থাৎ, রোগীর করোনা উপসর্গ থাকলে কোভিড টেস্টের ফল হাতে না আসা পর্যন্ত শবদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না।
আগামী ১ আগস্ট থেকে কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট পলিসিও ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সেফ হোম, ডেড বডি ডিসপোজাল, অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি, টেলি মেডিসিন, ডেটা সেন্টার এবং কোভিড ওয়ারিয়র ক্লাবের মতো বিষয়গুলো দেখার জন্য ৮ জন আইএএস অফিসারের নেতৃত্বে আটটি টিম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, আগস্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কোনও প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধের যে সময়সীমা দেওয়া ছিল, তা বাড়ছে। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি আশার কথাও শুনিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টার্গেট আছে, শিক্ষক দিবস (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে পুজো পর্যন্ত সব স্বাস্থ্য বিধি মেনে একদিন অন্তর ক্লাস চালু করা। অবশ্য পরিস্থিতির উপর সবকিছু নির্ভর করবে। সব পর্যালোচনার পর আগস্টে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।’