শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
বাম দলগুলির অভিযোগ, এক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করেই এহেন গুণ্ডামি করছে তৃণমূলের গুণ্ডারা। তবে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশিই ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়েও জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একযোগে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম, সিপিআই। তাদের অভিযোগ, ওই রাজ্যে বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা আসনের সিপিএম প্রার্থী শঙ্করপ্রসাদ দত্তকে। তা সত্ত্বেও ওই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন কোনওরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে বাম দলগুলি।
এদিকে, আজ জাতীয় ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিক সুদীপ জৈনের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে রুট মার্চের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিভ্রান্ত করছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। কংগ্রেস কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছে, রাজ্যে পুলিশ অবজার্ভার যিনি আসবেন, তিনি যেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেন, কোন বুথ স্পর্শকাতর অথবা কোথায় কীভাবে রুট মার্চ করতে হবে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের আগে বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে অনেক অস্ত্র ঢুকছে বাংলায়। সেগুলিকে অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার আর্জিও জানিয়েছে দল।
একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়ে বলেছে, সরকারের উচ্চমহল থেকে জেলার ডিএম, এসপিদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, প্রতি বুথে শাসক দলের অন্তত ৫০০টি করে ভোট যেন নিশ্চিত করা হয়। এই বিষয়টিরও তদন্তের আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও অনুরোধ করা হয়েছে। সাক্ষাতের পর প্রদেশ কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, মালা রায়েরা বলেছেন, ‘কমিশন আমাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিককেই রিপোর্ট করবেন বলে সুদীপ জৈন জানিয়েছেন। ফলে ভোট প্রভাবিত হবে না বলেই তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’