শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মোট চার দফা দাবি পেশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রধান দাবি হল, চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের ১৫ দিন আগে পর্যন্ত ডিআই অফিস থেকে আসা শূন্যপদকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে প্যানেলভুক্ত ওয়েটিং প্রার্থীদের তথা অনশনরতদের তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে চাকরি দিতে হবে। তাঁদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের কলকাতা গেজেটের ৮/৩ (বি) ধারায় শূন্যপদ নির্ণয়ের এই পদ্ধতির কথাই বলা হয়েছে। কলকাতা গেজেট অনুসারেই পূর্ণাঙ্গ মেরিট প্যানেল অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষাগত বা অ্যাকাডেমিক মার্কস এবং পার্সোনালিটি টেস্টে প্রাপ্ত নম্বর সহ পূর্ণাঙ্গ মেরিট লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। লিস্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে ১২/৬ ধারা অনুযায়ী ১:১.৪ অনুপাত মেনে চলতে হবে। সর্বোপরি, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না। তাঁদের দাবিতে যদিও তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের দাবি তোলা হচ্ছে, কিন্তু তার মাধ্যমে আর চাকরি দেওয়ার উপায় নেই। কারণ, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কাউন্সেলিং আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আর মাধ্যমিক স্তরের কাউন্সেলিং মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দফার কাউন্সেলিংয়ের আয়োজন করতে হবে।
বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, এদিন শিক্ষা সচিবের ঘরে এসএসসি’র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এই প্রার্থীদের কাছ থেকে দাবিপত্র জমা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনশনকারীদের তরফে কেউ সেখানে পৌঁছননি। পরে যখন তাঁরা বিকাশ ভবনে যান, তখন আধিকারিকরা চলে গিয়েছেন। তবে, দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা ছিলেন। তাঁরা সেই দাবিগুলিকে আরও সুনির্দিষ্ট করে সাজিয়ে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাই আজ, বুধবার সেটা বিকাশ ভবনে জমা দেওয়া হবে। এসএসসি’র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, সোমবার এবং মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত আমিও অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য বসেছিলাম। কিন্তু কেউই আসেননি। আমাদেরও তো অন্য কাজ থাকে। তবে বুধবারও তাঁদের জন্য অপেক্ষা করব।