শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, শিলংয়ের জেরা পর্ব প্রসঙ্গে মুখবন্ধ খামে সিবিআই যা বলেছে, রাজীবকুমারকেও তা নিয়ে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, অত্যন্ত সিরিয়াস কোনও বিষয় উল্লেখ থাকলে আমরা তো আর চোখ বুজে থাকতে পারি না। তবে এক পক্ষের বক্তব্যই শুধু শুনব না। সিবিআইকে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, আদালতকে আজ যে মুখবন্ধ খামে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিলেন, তা রাজীবকুমারকেও দিন। ওঁর বক্তব্যও জানতে চাই। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পরে মামলার শুনানি হবে।
ওদিকে, মামলাটি থেকে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিসের ডিজি’কে নিষ্কৃতি দেওয়ার আবেদন করলেও তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাঁদের হয়ে আইনজীবী অভিষেক সিংভি বলেন, মামলাটি যখন প্রধানত রাজীবকুমারের বিরুদ্ধেই চলছে, তখন মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি’কে রেহাই দেওয়া হোক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার যে মামলা রয়েছে তা একইসঙ্গে চলবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগে রাজ্য পুলিস যে তদন্ত করেছে, তার যাবতীয় তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। কিন্তু সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজীবকুমার তদন্তে অসহযেগিতা করছেন। বার বার বলা সত্ত্বেও সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এবং যা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও রাজীবকুমার সিবিআইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সিবিআইয়ের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের চারটি মোবাইলে নাম্বারের কল ডিটেলস সম্পূর্ণ দেননি রাজীবকুমার। রাজীবকুমার ছিলেন তদন্তের স্বার্থে গঠিত এসআইটি’র প্রধান। কে কে বেণুগোপাল আদালতে বলেন, ফোনের যে কললিস্ট দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কোনওটির দশ মাস, কোনওটির ১১ মাসের কোনও বিস্তারিত রিপোর্ট নেই। সিডি’র অনেক জায়গা ফাঁকা। তাই তদন্তে অসুবিধে হচ্ছে জানিয়ে রাজ্য পুলিসকে চিঠি দিয়ে সহযোগিতার আবেদন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
কিন্তু শিলংয়ে তো আপনারা রাজীবকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? কী পেয়েছেন? সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তখনই মুখবন্ধ খামে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তুলে দেয় সিবিআই। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তা পড়ে নিজেদের মধ্যে প্রথমে আলোচনা করেন। তারপর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়ে দেন, লাঞ্চ ব্রেকের পর দুটোর সময় ফের শুনব। বিচারপতির এই মন্তব্য এবং অভিব্যক্তিতে রাজীবকুমারের আইনজীবী তো বটেই, আদালতে উপস্থিত অন্য আইনজীবীদের মধ্যেও কৌতুহলের উদ্রেগ হয়। কী আছে মুখবন্ধ স্ট্যাটাস রিপোর্টে?
দুপুর দুটোয় ফের এজলাস বসলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই রিপোর্টে রাজীবকুমার সম্পর্কে অত্যন্ত মারাত্মক বিষয়ের কথা বলা আছে। অত্যন্ত সিরিয়াস অভিযোগ। আদালত অবমাননার মামলায় এভাবে বার বার সিবিআই তাদের বক্তব্য জানাতে পারে না বলে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, কিন্তু মামলা চলাকালীন যদি সিরিয়াস কোনও অভিযোগের বিষয় সামনে আসে তবে কি আদালত চোখ বন্ধ করে থাকবে?