শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
ফল প্রকাশের তালিকা অনুযায়ী, সব বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। এছাড়াও একটি করে বিষয়ে ফেল ছিল, এমন প্রার্থীর সংখ্যাও কম ছিল না। প্রাথমিক, এমএসকে-এসএসকে এবং পার্শ্বশিক্ষক মিলিয়ে বছর দেড়েক আগে প্রায় ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী যোগ্যতামান পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাতে অনুত্তীর্ণ এবং ৫০ শতাংশ নম্বর পাননি, এমন অনেকেই ছিলেন। এই সব প্রার্থীদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বহুদিন টালবাহানা চলে। শেষ পর্যন্ত সরকার সেই সব কর্মরত শিক্ষকদের চাকরির কথা মাথায় রেখে জানুয়ারি মাসে বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদকে দেয়।
সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি করে বিষয়ে ফেল ছিল, এমন ১২-১৩ হাজার শিক্ষক পরীক্ষা দিয়েছেন। যেমন ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩৫৫৪ জন, বাংলায় ৩৩৮৫ জন, ইতিহাসে ২৩৯৬ জন, এডুকেশনে ২৭৫১ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় রয়েছে। সংসদের সচিব অমিতাভ বাগচির বক্তব্য, বিষয় অনেক রয়েছে। যাঁর যে বিষয়ে নম্বর ছিল না, তিনি সে বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। অধিকাংশই পাশ করেছেন। তবে পাঁচ শতাংশেরও কম প্রার্থী ফেল করেছেন। সব মিলিয়ে অন্তত ৬৮ জন এমন প্রার্থী আছেন, যাঁদের অসম্পূর্ণ ফল এসেছে। এক কর্তার কথায়, হয়তো প্রজেক্টের নম্বর জমা পড়েনি বা দেরি হয়েছে। তাতে অবশ্য সমস্যা হবে না।
ইংরেজি, বাংলা, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পাশের হার যথাক্রমে ৯৮.১৪, ৯৮.১১, ৯৮ এবং ৯৯.১০ শতাংশ। তবে কতজন ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন, সেই হিসেব সংসদের কাছে নেই। এই পরীক্ষায় পাশ করার জন্য ন্যূনতম ৩৪ পেতেই হবে। সংসদের কর্তাদের মতে, এবার শিক্ষক প্রার্থীরা তার চেয়ে অনেকটাই বেশি নম্বর পেয়েছেন। চাকরি বাঁচানোর তাগিদে শিক্ষকরা খেটেখুটে পড়াশুনা করেছেন। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, শিক্ষকদের চাকরির কথা মাথায় রেখে এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা মানবিক মনোভাব দেখিয়েছেন কর্তারা। প্রশ্নপত্র থেকে খাতা দেখা— দু’টি ক্ষেত্রেই কিছুটা সহজ করারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।