শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে এখনও বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। এরমধ্যেই বিজেপিকে ‘চাঁদমারি’ করে চাকদহ এলাকায় দেওয়াল জুড়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে টিপ্পনি দেওয়া ছড়ায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই এই লোকসভা কেন্দ্রে নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাসকে প্রার্থী করে দল চমক দিয়েছে। নাম ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল প্রার্থী নিজ লোকসভা কেন্দ্রে চুটিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, এই কেন্দ্রের সিপিএমের প্রার্থী রমা বিশ্বাসও প্রচারে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পদযাত্রা, বাড়ি বাড়ি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় দলীয় কর্মীরা এখনও সেভাবে ময়দানে নামেননি। তবে, শাসক দলের দেওয়াল লিখনে বিজেপিকেই মূল আক্রমণ করা হয়েছে।
চাকদহ এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের লেখার কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। একটি দেওয়ালে রীতিমতো ছবি এঁকে দেওয়াল লিখন করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘ডুবছে পদ্ম, ফুটছে ফুল, বাংলায় থাকবে তৃণমূল।’ আবার এক জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘পেট্রলের দাম ৮০ টাকা, তোমার আমার পকেট ফাঁকা, এই বিজেপি আর না, আর না।’ ‘মনের প্রতীক চিনে নিন, জোড়া ফুলে ভোট দিন।’ ‘যাদের হাতে পদ্ম, এবার হবে জব্দ।’ ‘ মা বোনেরা বাঁধল জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট’। অন্য একটি দেওয়ালে লেখা রয়েছে, ‘মোদি ডিটারজেন্ট কোম্পানি কো সার্ফ মে ধো ডালা তো, চোর, গুন্ডা সবকা লাইফ জিংগা লালা।’ অন্য একটি দেওয়ালে লেখা রয়েছে, ‘খুলবে বাক্স, ফুটবে ফুল, বাংলায় আবার তৃণমূল।’ ‘আমরা লড়ি ভাতের লড়াই, বিজেপি করে জাতের লড়াই, এই বিজেপি আর না।’ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীরা জনসভায় বলছেন, আমরা কেউ প্রার্থী নই, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী। তাঁকে দেখে ভোট দেন। এই বিষয়টিও এই এলাকায় দেওয়াল লিখনে ফুটে উঠেছে। ‘পদ নয় পতাকা, সব কেন্দ্রেই মমতা।’
চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরপ্রসাদ হালদার বলেন, সিপিএমের সঙ্গে গত লোকসভায় মূল লড়াই হয়েছিল। গত নির্বাচনে বিজেপি দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দেওয়াল লিখনে অধিকাংশ আক্রমণ বিজেপিকে করা হয়েছে। তাহলে কি বিজেপি মূল প্রতিপক্ষ? তিনি বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় থেকে যা করে বেড়াচ্ছে তা মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। উন্নয়নের নিরিখে মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দেবে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় কে হবে তা নিয়ে আমরা ভাবছি না।
অন্যদিকে, বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, এখনও রানাঘাট কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। কর্মীরা তাই ময়দানে নামেননি। অথচ ওরা আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ করে দেওয়াল লিখন করেছে। এতে পরিষ্কার যে, বিজেপিকে ওরা ভয় পেয়েছে। আমাদের জয় নিশ্চিত। সিপিএমের চাকদহ এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বর্ণেন্দু দত্ত বলেন, ওরা সস্তার ছড়া লিখেছে। আমরা রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরেছি। সেখানে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারে দুর্নীতি, বেকারত্ব, সামাজিক সুরক্ষা সব কিছুই উঠে এসেছে।