শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
জোটের দরজা বন্ধ হলেও কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার তালিকার ব্যাপারে নজর ছিল রাজ্য সিপিএমের। তবে রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র যাদবপুর ও বাঁকুড়া আসনে সৌজন্যের খাতিরে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যাদবপুরে সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সামাজিক আন্দোলন ও তাঁর আইনি লড়াইকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন সোমেনবাবু। তবে সাংসদ হিসেবে উপযুক্ত ভূমিকা পালনের কারণে বাসুদেব আচারিয়ার কেন্দ্র বাঁকুড়াকেও ছাড় দেওয়ার কথা ভেবেছিল কংগ্রেস। যদিও সেখানে এবার বাসুদেববাবু প্রার্থী হননি। পরিবর্তে দলের প্রার্থী অপর হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র। কংগ্রেসের এদিনের তালিকায় যাদবপুরের পাশাপাশি বাঁকুড়ার নাম না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে সিপিএম। তবে একইসঙ্গে সমঝোতার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার পর সৌজন্যের নজির দেখাতে সোমেনবাবুরা প্রথমে যে কয়েকটি আসনে প্রার্থী না দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে আরামবাগ, ডায়মন্ডহারবার, বোলপুর ও বিষ্ণুপুরে প্রার্থীর নাম এদিন তারা ঘোষণা করায় কংগ্রেসের কথা ও কাজের মিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আলিমুদ্দিন। তাই যাদবপুর বা বাঁকুড়ার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা জানানোর রাস্তায় তারা হাঁটবে না বলে ঠিক করেছে।
এদিন রাতে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, জেতা আসনে প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেস শুরুতেই বোঝাপড়ার রাস্তা বন্ধ করার বার্তা দিয়েছিল। মালদহের পর উত্তরবঙ্গে তাদের কোনও প্রার্থী থাকবে না কেন—এই প্রশ্নের সমাধানে জলপাইগুড়ি আসনটি নিয়ে আমরা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিতীয়বার আলোচনার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছিলাম। সোমেনবাবুর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসে সে কথা স্বয়ং সূর্যকান্ত মিশ্র বলে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আচমকাই সোমেনবাবুদের সুর বদলে যায়। সেটাই রহস্যের। তবে আমরা খবর পেয়েছি, রাজ্যে একক লড়াই করলে দলের ফল যে আদৌ ভালো হবে না, সে কথা প্রদেশ কংগ্রেসের দেওয়া রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে স্বয়ং রাহুল গান্ধীও নাকি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মালদহের জনসভায় মঞ্চে বসা সোমেন মিত্রের সঙ্গে কেন রাহুল বাক্যালাপ করলেন না, তা নিয়ে দলেই চর্চা চলছে। তাই এসবের পর এখন গোরু মেরে জুতো দান করার মতো যাদবপুর বা বাঁকুড়ায় প্রার্থী না দেওয়ার কথা বলে কি নিজেদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে প্রদেশ নেতৃত্ব?