পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে ধোবিঘাটে (প্রস্তাবিত করিডর এলাকার মধ্যেই) একটি আয়রন জেটি তৈরি করা হলেও তা তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় অনুমোদন মেলেনি এখনও। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধোবিঘাট থেকে গোলাঘাট পর্যন্ত রিভার করিডরে প্রতিমা বিসর্জনের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। বিসর্জন পর্ব মিটবে অনেক সহজ ও সুষ্ঠুভাবে। থাকবে দর্শনার্থীদের বসার জায়গা ও গঙ্গাস্নানের সুব্যবস্থা। তর্পণ করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থাও ওই করিডরে থাকার কথা। এছাড়া, গোটা এলাকাজুড়ে হবে সৌন্দর্যায়ন। গোলাঘাটের সামনে সাঁইবাবা মন্দিরে আসা ভক্তরা বলেন, ‘করিডর তৈরির জন্য যখন মাপজোক করা হচ্ছিল, সেই তোড়জোড় দেখে আমরা ভেবেছিলাম, দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু বছর গড়ালেও আর কোনও কাজ হতে দেখা যাচ্ছে না। আমরা চাই, প্রস্তাবিত করিডরের কাজ দ্রুত শেষ হোক।’ তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও জেটি বন্ধ থাকা নিয়ে তাঁরা বলছেন, ‘এই জেটি চালু হয়ে গেলে বারাকপুরের সঙ্গে শ্রীরামপুরের জলপথে যাতায়াত অনেক সহজ হবে। এখন বাঁশ, কাঠের জেটি পারাপার করতে হয় অসংখ্য মানুষকে।’
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কাশীনাথ সাহা বলেন, ‘গঙ্গায় প্রতিমা নিরজন থেকে শুরু করে ছট উৎসব, সব কিছুই হয়। তাই আমাদের বোর্ড থাকার সময় গঙ্গার ধার বরাবর সৌন্দর্যায়ন সহ বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছিলাম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু করা যাবে। আমরা তার অপেক্ষাতেই আছি। তবে এতদিনেও যে কাজ শুরু করা গেল না, তা অবশ্যই আক্ষেপের বিষয়।’