পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বুধবার সকাল থেকেই কুলতলির কৈখালিতে পর্যটকদের ভিড়। মাতলা নদীর ধারে পিকনিক মুডে মেতে আট থেকে আশি। নদীর পাড়ে কাগজ, শতরঞ্জি বিছিয়ে চলেছে দেদার মজা। চলেছে সেলফির প্রতিযোগিতাও। কেউ রান্নার কাজে ব্যস্ত। ঠান্ডা ছিল না বলে শীত পোশাক খুলে রাখতে হয়েছিল অনেককে। কেউ বোট ভাড়া নিয়ে গিয়েছেন সুন্দরবন ভ্রমণে। জেটি ঘাটে কুলতলি থানার পুলিসের নজরদারি ছিল সবসময়। মদ্যপ অবস্থায় যাতে কোনও পর্যটক বোটে না উঠতে পারেন তার জন্য বোট মালিকদের ডেকে সতর্ক করেছে পুলিস। চলেছে মাইকিংও।
অন্যদিকে সকাল থেকেই জমজমাট ছিল বকখালি। পর্যটকরা ফাঁকা জায়গা বেছে নিয়ে পিকনিকের আসর বসাতে ব্যস্ত ছিলেন। নিরাপত্তার জন্য পুলিসি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতজুড়ে টহলদারি চালিয়েছেন। সমুদ্রে স্নানের সময় বাঁশি বাজিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তবে মেঘলা আকাশ থাকায় পর্যটকরা সন্ধ্যার আগেই বাড়ির দিকে রওনা হয়ে যান। বকখালির হোটেলগুলিতে ষাট শতাংশ রুম বুক হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি মালিকদের। বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ হোটেল ওয়েলফেয়ারের সহ সম্পাদক বাসুদেব কুইতি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার বকখালিতে ভিড় কম হয়েছে।’ এদিকে এদিন মৌসুনি পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় থাকলেও বহু পর্যটককে ফিরে যেতে হয়েছে। কারণ পচা মাছের জন্য পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের কেল্লা এলাকায় ভিড় থাকলেও কুয়াশায় তা ঢাকা ছিল সারাদিন।