পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
১৭তম বছরে অনুষ্ঠানের জাঁকজমক নতুন মাত্রা পেয়েছে। উৎসবের উদ্বোধন করেন স্বামী বেদাতীতানন্দজি মহারাজ। তিনি বলেন, ‘এমন সমৃদ্ধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারা সৌভাগ্যের। স্বামীজি বলতেন, সঙ্গীত সর্বশ্রেষ্ঠ অঞ্জলি। এখানে আগামী কয়েকদিন সেই সঙ্গীতের সাধনা হবে।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, নৃত্যশিল্পী সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, আইসিসিআরের প্রাক্তন ডিরেক্টর গৌতম দে সহ অনেকে।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে ছিল সমবেত নৃত্য, একক সঙ্গীত, শ্রুতিনাটক ও নাটক। ছ’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রদেশের শাস্ত্রীয় নৃত্য, সঙ্গীতের পাশাপাশি লোকনৃত্য, আবৃত্তি, সমবেত গান সহ নানা আয়োজন থাকছে। অংশগ্রহণ করবেন দেশ-বিদেশের বহু প্রতিযোগী। এ বছর ২২টি রাজ্য এবং বিশ্বের ১০টি দেশের প্রতিযোগীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। উৎসবের আহ্বায়ক সুদীপ পোল্লে জানান, কলকাতার প্রতিযোগিতায় যোগ দেবেন ৪ হাজারের বেশি শিল্পী। বেহালা ব্লাইন্ড স্কুল ময়দান, ব্লাইন্ড স্কুল প্রেক্ষাগৃহ ও বেহালা শরৎ সদন প্রেক্ষাগৃহে একযোগে প্রতিযোগিতাগুলি চলবে। বিজয়ীদের স্কলারশিপ ও বিদেশে গিয়ে অনুষ্ঠান করার সুযোগও থাকছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিল্পী বিশ্বমোহন ভাট, পণ্ডিত কুমার বোস, পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, উস্তাদ শাহিদ পারভেজ, পণ্ডিত সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত রনু মজুমদার, পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য, বিক্রম ঘোষ, উস্তাদ আক্রম খান সহ আরও অনেক গুণী শিল্পীর অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হবে উৎসব। এছাড়াও থাকছে গুণীজনদের সংবর্ধনা। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে থাকছে হস্তশিল্প ও নানান ধরনের খাবারের সমাহার। ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়