পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে হাওড়ার শৈলেন মান্না সরণির ষষ্ঠী নারায়ণ ইকো পার্কে ক্রিসমাস কার্নিভাল উপলক্ষ্যে ভিড় জমতে শুরু করে। তা বুধবার হয় প্রায় দ্বিগুণ। ফুড স্টলগুলির পাশাপাশি সেলফি জোন, সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় কার্নিভালে ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকা ভলান্টিয়ারদের। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক মঞ্চে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। গানের ছন্দে পা মিলিয়েছিল আট খুদে। ওদের অনুষ্ঠান দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে সবাই। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘সেভাবে কোনও অনুষ্ঠানে ওদের নিয়ে বাবা-মারা যেতে পারেন না। বড়দিন তো সবার উৎসব। তাই ওরা আজ সবার সঙ্গে খুশির আনন্দ ভাগ করে নিল।’ এদিন সকাল থেকেই হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন, রেল মিউজিয়াম, বেলুড় মঠ, হাওড়া ময়দানের প্ল্যানেটারিয়ামে থিকথিকে ভিড়।
এর পাশাপাশি গঙ্গাপাড়ের প্রাচীন শহর হুগলিতেও বড়দিনের রোশনাইয়ে সেজে উঠেছিল বিভিন্ন চার্চ। ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চ, শ্রীরামপুরের সেন্ট ওলাভ চার্চে এদিন তিলধারণের জায়গা ছিল না। সন্ধ্যা যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে ভিড়। শীতকালীন পিকনিকের মরশুমও এদিন থেকে প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে তা বোঝা গেল, গঙ্গার পাড়ের বিভিন্ন এলাকা, দিল্লি রোডের পাশের আম বাগানগুলি দেখে। কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে, কেউ পরিবার নিয়ে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিলেন পিকনিকের মুডে। নির্দিষ্ট কোনও জায়গার উদ্দেশে নয়, পছন্দমত এলাকা দেখে বনভোজনে বসে পড়েছিলেন অনেকে। উৎসবের এই দিনে আমবাগান থেকে সরষে খেত- সবই হয়ে উঠেছিল পিকনিক স্পট। এই দুই শহরেই বড়দিনের অতিরিক্ত ভিড়ে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক ছিল পুলিস। চার্চ সংলগ্ন এলাকাগুলির পাশাপাশি দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতেও অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন ছিল।