পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের টাকি এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরার মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে ইছামতী নদী। ফলে সীমান্ত সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রয়েছে ইছামতীর। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে টাকি ও হাসনাবাদে ঘুরতে আসা মানুষের। বুধবার টাকির পর্যটক কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে খেলে বেড়াচ্ছে কচিকাঁচারা। তবে নদীর চরে এবং নৌকায় ভ্রমণ তেমন দেখা যায়নি। স্থানীয়দের মতে, বাংলাদেশের অশান্তির কারণে টাকি পর্যটন কেন্দ্রে মানুষ কম এসেছেন। একই ধারণা পর্যটন কেন্দ্রে থাকা ব্যবসায়ীদের। শীত পড়তে না পড়তেই টাকির ইছামতী নদীর পাড়ে পর্যটকদের ভিড় দেখা যেত অন্য বছর। কিন্তু এবার এখনও তেমনভাবে পর্যটকদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না এই পর্যটন কেন্দ্রে।
ইছামতীতে নৌকা চালান স্বপন পরামানিক। তিনি বলেন, শীত পড়লেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ভিড় জমাত এই সীমান্ত শহরে। কিন্তু এবার তেমন পর্যটকদের দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের অশান্তির কারণে পর্যটকরা ভাবছে সীমান্ত লাগোয়া টাকিতে হয়তো প্রশাসনের কড়াকড়ি রয়েছে। সেই কারণেই আসছে না পর্যটকরা। এমন অবস্থায় রোজগার নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই বিষয়ে হোটেল ব্যবসায়ীদেরও একই মত। টাকিতে বেড়াতে আসা কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দার সনজিৎ মণ্ডল বলেন, ভেবেছিলাম নিরাপত্তার কারণে টাকিতে ঘুরে বেড়াতে গেলে প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হবে। এখানে এসে দেখছি, সীমান্তে বিএসএফ কড়া পাহারা দিলেও পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে না। তবে অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে লোক কমেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের কোনও প্রভাব টাকিতেই পড়েনি। বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের মাঝখান দিয়ে ইছামতী নদীর বয়ে গিয়েছে এটাই বড় সুরক্ষা টাকি শহরে। তবে শীত কম থাকায় পর্যটকরা কম এসেছে।