সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গত ১৮ মার্চ মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে এই ঘটনা ঘটেছিল। তদন্ত শেষ করে ঘটনার ৮৯ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল লালবাজার। কলকাতা পুলিসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় ৭৩০ পাতার এই চার্জশিটে ছ’জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সরকারি আদেশ অমান্য করা, ভাঙচুরের মতো একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত ছ’জনের মধ্যে একজন পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বাকি অভিযুক্তরা হলেন ওই নির্মাণের প্রমোটার, জমির মালিক, ঠিকাদার তথা প্রধান মিস্ত্রি। তাঁরা প্রত্যেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। তাঁদের হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালাতে মরিয়া লালবাজার।
চার্জশিটে সাক্ষী তালিকায় ১৭০ জনের নাম রয়েছে। সিআরপিসির ১৭৩ (৮) ধারায় পরবর্তী তদন্তের পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের রাস্তা খোলা রেখেছেন গোয়েন্দারা। এই ধরনের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিস সাধারণত গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ আনে। কিন্তু গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে লালবাজার যেভাবে সরাসরি খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনল, তা আগামী দিনে দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ১৮ মার্চ মধ্যরাতে গার্ডেনরিচ থানার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মীয়মান বহুতলটি ভেঙে পড়ে পাশের একটি ঝুপড়ির উপর। প্রথমে ন’জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও চারটি দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিস বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’ গঠন করেছিল। ভোট মিটতেই সিট চার্জশিট পেশ করল।