সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণেশ্বর মন্দির লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং হয়। শুক্রবার দুপুরে টিএন বিশ্বাস রোডে বিদ্যুতের তারে আগুন লাগে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। শুধু এই রাস্তা নয়, আরএন টেগোর রোড, টিএন মুখার্জি রোডেও একই সমস্যা। ১৩ নম্বর আরএন টেগোর রোডের বাসিন্দা রাজু চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার ভোর থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। বাড়িতে ছোট মেয়ে রয়েছে। গত চার দিন ধরে এই সমস্যা চলছে। প্রতিদিন তিন-চারবার লোডশেডিং হচ্ছে। যখনই বিদ্যুৎ যাচ্ছে তিন-চার ঘণ্টার আগে আসছে না। এই গরমে আমরা ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্যে রয়েছি।’ প্রশান্ত দাস নামে অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েকদিন ছাড়া-ছাড়াই এই সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই পরিস্থিতি হলে বাকি জায়গায় কী হচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন।’
কামারহাটি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি পানীয় জলের পাম্প হাউস রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য পাম্প মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকছে। গত এক বছর ধরে মাঝেমধ্যেই এই সমস্যা হচ্ছে। এই এলাকার জন্য পৃথক ট্রান্সফর্মারের প্রয়োজন। বহুবার সিইএসসিকে জানানো হয়েছে।
এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও পুরসভার সিআইসি অরিন্দম ভৌমিক বলেন, ‘এই এলাকায় বেলুড় মঠ, সারদা মিশনের মতো বড় প্রতিষ্ঠান, প্রচুর গেস্ট হাউস রয়েছে। আবাসনে এসি’র সংখ্যাও প্রচুর। ফলে বিদ্যুতের লোড অনেক বেশি। তাই বারবার বিদ্যুতের তারে আগুন ধরছে। লোডশেডিং হচ্ছে। সিইএসসিও আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের ধারণা, নতুন ট্রান্সফর্মার না লাগালে এই সমস্যা মিটবে না।’