কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল বলছে, ভোট রাজনীতিতে নামের ‘ভ্রান্তিবিলাস’ তৈরি করাটা একটি পুরনো কৌশল। তবে তা আক্ষরিক অর্থেই পুরনো। কারণ, বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ব্যালটে ভোটারদের সুবিধার জন্য প্রার্থীর ছবি দেওয়া থাকে। অতীতে কত নম্বর সিরিয়ালে প্রার্থীর নাম আছে, সেই নিরিখে ভোটদাতাকে বলা হতো ভোট দিতে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পদ্ধতি চালু ছিল। একই নামের প্রার্থী থাকলে ভোট-বিভ্রাটের সুযোগ থাকে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সেই পুরনো অস্ত্র নিয়েই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করেছে বিজেপি। হাওড়ার সলপের তেঁতুলকুলির বাসিন্দা কল্যাণ পাল। তিনি পেশায় গাড়িচালক। গাড়িচালকদের একটি এজেন্সিও চালান। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সলপ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। পালবাবু বলেন, ‘আমি নিজেই প্রার্থী হয়েছি। আমার উপর অত্যাচার হয়েছে, তাই প্রতিবাদ করছি’। কল্যাণ সামন্ত শ্রীরামপুর লোকসভার চাঁপদানির বাসিন্দা। মধ্যবয়সি সামন্তবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনে চাঁপদানিতেই বিজেপি প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের নেতাদের তত্ত্বাবধানেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন এবার। সামন্তবাবু বলেন, ‘আমি তাঁদের (বিজেপি নেতা) বলেছিলাম, লোকসভা ভোটে লড়ার মতো টাকা আমার নেই। তারপর অবশ্য আমি নিজেই প্রার্থী হয়েছি। বিজেপি নেতৃত্ব নানাভাবে সাহায্য করেছে’। তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা বিদায়ী সাংসদের ঘনিষ্ঠ নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, শুধু নামের ভ্রান্তিবিলাসে বিজেপির কোনও ‘কল্যাণ’ হবে না। তবে দুই কল্যাণকে নির্দল প্রার্থী করে বিজেপি এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, মানুষের উপর তাঁদের ভরসা নেই। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহন আদক বলেন, ভোটে লড়ার আইনি অধিকার সবার আছে। সেই নিরিখে কেউ প্রার্থী হতেই পারেন। সেখানে আমাদের কী ভূমিকা? আর ওই দু’জন কোন নির্বাচনে, কী কাজ করেছেন, সেসব তথ্য আমার কাছে নেই।
শ্রীরামপুর লোকসভা নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী লড়াইয়ে রয়েছেন। দুই নির্দলীয় কল্যাণ রয়েছেন ৮ ও ৯ নম্বরে। তৃণমূলের কল্যাণ আছেন ২ নম্বরে। এখন দেখার, জোড়া কল্যাণ কার ‘কল্যাণ’ করতে পারেন।