কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ওই বিশেষ ধরনের পর্যবেক্ষণ পঞ্জি তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে আমরা গুণমান, কাজের সঠিক গতিতেও নজরদারি করতে পারব। সচিত্র ওই পঞ্জির ব্যবহার নিয়ে আমরা উপভোক্তাদের উপস্থিতিতে কর্মশালাও করেছি। কোনওরকম অভিযোগের ক্ষেত্রে বা অভিযোগ না থাকলেও তথ্যপঞ্জি মারফত একনজরে আমরা পরিষ্কার চিত্র পেয়ে যাব। এর পাশাপাশি উপভোক্তারা সহজেই যাতে অভাব-অভিযোগের কথা জানাতে পারেন, তার জন্যে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টোল ফ্রি নম্বরও ওই তথ্যপঞ্জির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, আমাদের নেত্রী ও আমাদের সরকার বরাবরই উপভোক্তাদের কাছে তাদের প্রাপ্যটুকু স্বচ্ছতার সঙ্গে তুলে দিতে চেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ সেই নিরিখে সাধুবাদের দাবিদার।
আমজনতার সুবিধার জন্যে সরকারি প্রচুর প্রকল্প যেমন আছে তেমনি সেগুলিকে ঘিরে অনিয়মের অভিযোগের সংখ্যাও কম নয়। বিশেষ করে সরকারি বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পকে ঘিরে অনিয়ম কার্যত নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্য সরকারের বাংলা আবাস যোজনার কাজ স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়িত করতে বিশেষ নজরদারির জন্যে কার্ড তৈরি করেছে হুগলি জেলা প্রশাসন। উপভোক্তার ছবি ও তথ্যসহ সেই কার্ডে বাড়ি তৈরির প্রত্যেক কিস্তির টাকা পাওয়ার হিসাব লিখে রাখতে হবে। শুধু তাই নয় নির্মাণ বন্ধুর কাজের নজরদারি করবেন জেলা প্রশাসনের পদাধিকারীরা। এই পরিদর্শন সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, কোন উপভোক্তার কাজ পরিদর্শনে কবে কে যাচ্ছেন, তিনি কী দেখছেন তাও ওই কার্ডে স্বাক্ষর সহ লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উপভোক্তাদের সুবিধার জন্যে তাঁর প্রাপ্য কত, বাড়ি কেমন হবে তাও কার্ডে আলাদা করে উল্লেখ করে দেওয়া থাকছে। সেই সঙ্গে কোথাও ত্রুটিবিচ্যুতি হচ্ছে বলে মনে করলে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্যে টোল ফ্রি নম্বরও কার্ডে দিয়ে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। ফলত তথ্যপঞ্জির নামে বহুস্তরীয় নজরদারির আওতায় বাংলা আবাস যোজনাকে রাখা হচ্ছে বলাই বাহুল্য।