বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলিম জেরায় বলেছে, পিঙ্কিকে খুন করার কোনও ইচ্ছে তার ছিল না। কিন্তু একাধিক যুবকের ফোন আসা ও তাদের সঙ্গে পিঙ্কির সম্পর্ক রয়েছে বুঝতে পারার পরেই তার মাথা গরম হয়ে যায়। একাধিক সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদ করতেই পিঙ্কি বচসা শুরু করে দেয়। তাই রাগের মাথায় গলা টিপে ধরে। তারপর শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পিঙ্কিকে খুনের পরেই তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে লজ থেকে চম্পট দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস যাতে পিঙ্কির কললিষ্ট থেকে তাকে চিহ্নিত করতে না পারে সেজন্যই ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে লজের সিসি টিভির ক্যামেরা ও বুকিংয়ে দেওয়া তথ্য থেকে সে যে ধরা পড়ে যাবে তা ভাবতে পারেনি।
এদিন বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ডানকুনি হাউসিং লাগোয়া যে লজে পিঙ্কি ঘোষ খুন হয়েছিলেন সেখানে অভিযুক্ত প্রেমিক শেখ সেলিমকে নিয়ে হাজির হয় পুলিস। এরপরেই তিনতলার যে ঘরটি তারা ভাড়া নিয়েছিল সেখানে নিয়ে যায়। পুনর্নির্মাণের সময়ে অভিযুক্ত জানায়, ঘরে ঢুকেই তারা দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর খাটের বিছানার একপাশে দেড় মাসের শিশুকে শুইয়ে দিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছিল। ওই সময়ে পরপর তিনটি ফোন আসে। যাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই পিঙ্কির যোগাযোগ ছিল। এরপর দুপুর তিনটে নাগাদ একাধিক সম্পর্ক রাখা নিয়ে তাঁদের বচসা শুরু হয়। বিছানা থেকে উঠে ক্রমে তা হাতাহাতির আকার ধারণ করে। ওই সময়ে সেলিম পেছন থেকে জাপটে ধরে পিঙ্কির গলা টিপে ধরে। ছটফট করতে থাকায় কোণের দিকে দেওয়ালে নিয়ে গিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ ওইভাবে গলা চেপে ধরার পর পিঙ্কি কিছুটা নেতিয়ে নীচে পড়ে যায়।
পুলিস জানিয়েছে, সেলিম বলে, এরপরেই পিঙ্কির শাড়ি গলায় প্যাঁচ দিয়ে দু’হাতে সজোরে টেনে ধরি। তাতেই ওর জিভ বেরিয়ে গিয়ে একেবারে লুটিয়ে পড়ে। তারপর বাথরুমে গিয়ে চোখেমুখে জল দিয়ে একটু সময় ঘরে থেকে ওর ফোনটি নিয়ে সাড়ে তিনটা নাগাদ দরজা ভেজিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যাই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ডানকুনি হাউসিং সংলগ্ন একটি লজের তিন তলার ঘর থেকে শিশু কান্না শুনতে পান লজের কর্মীরা। ঘরের সামনে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকে কর্মীরা দেখেন ঘরের কোনে মরে পড়ে আছে এক গৃহবধূ। পাশে বিছানায় শুয়ে কাঁদছে তার দেড় মাসের শিশু। এরপরেই তাঁরা বিষয়টি পুলিসকে জানালে ডানকুনি থানার পুলিস দেহ ও শিশুটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে মৃত তরুণীর বাড়ি লিলুয়ায়। এরপরে তার স্বামীকে ডেকে তাদের হাতে শিশু সন্তানকে তুলে দেয়।