বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরে বাঁসাইয়ের রায়পাড়ার মণ্ডল পরিবারে অশান্তি চলছিল। বাড়িতে ওই বধূর ষাটোর্ধ্ব শ্বশুর ও শাশুড়ি থাকেন। শাশুড়ি মানসিক রোগী ও শয্যাশায়ী। বৃদ্ধ দম্পতির একমাত্র ছেলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বিবাদ চলছিল। শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজেদের বাড়ি-জমি লিখে দেওয়ার জন্য ছেলে ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী চাপ দিচ্ছিলেন বলে গৃহবধূর শ্বশুরের অভিযোগ। কিন্তু তাঁরা সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় কিছুদিন আগে ছেলের বউ কানাইপুর ফাঁড়িতে শ্বশুরের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। কোনও উপায় না দেখে বৃদ্ধ কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাদের দ্বারস্থ হন। তিনি পারিবারিক বিবাদ ও পুত্রবধূর দেওয়া অপবাদের মীমাংসার আর্জি জানান।
কিন্তু ভোট প্রক্রিয়া চলার কারণে শাসকদলের নেতারা বৃদ্ধকে বলেন, ভোটের পরে আমরা আলোচনা করব। সেই মত ভোট মিটতেই সোমবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কোন্নগর পুরসভার জল দপ্তরের কর্মী সনৎ কর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেখা পাল সহ কয়েক জনকে নিয়ে সালিশিসভায় বসেন। প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষকেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতারা প্রস্তাব দেন। অভিযোগ, ওই সময়ে গৃহবধূর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। দু’এক কথা হতে হতে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়।
অভিযোগ, এরপরেই সনৎবাবুর নির্দেশে পঞ্চায়েত সদস্যার উপস্থিতিতেই বধূকে সালিশিসভায় থাকা মহিলারা মারধর শুরু করে। টানাহেঁচড়া করে তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময়ে তাঁর স্বামী স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে সনৎবাবুরা তাঁকে ও তাঁর মেয়েকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলোচনা করে মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হলে ছেলে ও তার বউ কিছুতেই মানেনি। উল্টে তারা থানা-পুলিস, আদালতের হুমকি দেয়। তাতেই উত্তেজিত হয়ে বধূকে চড় থাপ্পড় মারে। কিন্তু বিবস্ত্র করা হয়নি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সনৎ কর বলেন, আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। আলোচনার জন্য ডাকা হলেও বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে ও তার বউ আলোচনা ছেড়ে চলে যায়। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, একটি অভিযোগ হয়েছে শুনেছি। পুলিসকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পাশাপাশি ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।