বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মা রীনা দেবীই তাঁদের সংসারের সব ছিলেন। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করা থেকে ৫৮ বছর বয়সেও সংসারের হাল ধরেছিলেন তিনিই। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, রবিবার গভীর রাতে ঘরে আগুন লেগেছে দেখে গেটের চাবি খুলে নিজে বাইরে না বেরিয়ে ছেলে, বউমাকে বাঁচাতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ও গেট খুলে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে পরিবারের সবাই সুস্থ থাকলেও অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মৃত্যু হয়। রীনাদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর স্বামী অধীর দে। তাঁদের মেয়ে রমা দে জানান, মা খুব কষ্ট করেছেন। বাবা দোকানে বই, পঞ্জিকা বিক্রি করেছে। মা সংসারটা ধরেছিলেন। ছোট ছেলে সুমন এদিন জানান, রাতে আমরা আইপিএলের ফাইনাল খেলা দেখছিলাম। মা বলল তোর প্রিয় টিম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জিতবে দেখবি। এরপর মা ঘুমোতে চলে গেল তারপর ওই ঘটনা।
অন্যদিকে, রীনাদেবীর মৃত্যুর পর টালিগঞ্জ থেকে তাঁর বড় ছেলে সুব্রতর শ্বশুরবাড়ির থেকে আসা আত্মীয় ১৭ বছরের কিশোরের ডুবে মৃত্যু হয়। একই পরিবারে পরপর দুটি মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়। যদিও দুটি ঘটনা নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করছে মৃতের পরিবার। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সুব্রত দে জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখে আমরা কিছু বলব না। তবে শুনছি, বলা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু, যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে ইলেক্ট্রিকের কোনও তার ছিল না। তার উপরে আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় ওই কিশোর এখানে এসে কোনওদিন বাড়ির বাইরে যেত না। সে বাড়ির কাছাকাছি কোনও পুকুরে স্নান করতে না গিয়ে কেন বিশরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন পুকুরে স্নান করতে গেল তা ভেবে পাচ্ছি না। সুব্রতর কথায়, আমি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় একতলার ছাদ থেকে কোনওরকমে ছেলে, স্ত্রীকে নামাই। তারই মধ্যে দেখলাম ভাইয়ের স্ত্রী কোলে ৬ মাসের শিশুকে নিয়ে নীচে ঝাঁপ দিল। আগুন নেভানো হলে সিঁড়িতে এসে দেখলাম মা বসে রয়েছেন। গায়ে হাত দিয়ে দেখি প্রাণ নেই। এদিন প্রতিবেশী গৃহবধূ শিউলি কর জানান, রিনাদেবী খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সবার সঙ্গে ডেকে ডেকে কথা বলতেন। কী যে হয়ে গেল।