সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার শুধুমাত্র বারাসত কেন্দ্রে বেশি ভোট পড়েছে। গতবার বারাসত আসনে ৮০.১৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল। কিন্তু এবার বারাসতে ৮০.১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাকি আট কেন্দ্রে গতবারের তুলনায় গড়ে দেড় থেকে দুই শতাংশ ভোট কম পড়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার গণনার পর ১৫ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে রাজ্যে মোট ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ‘সংঘর্ষ কেউ চায় না। আমরাও আশাবাদী যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে না। তবুও ভোটে সংঘর্ষ এড়াতে নির্বাচন কমিশন বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে। এবারই প্রথম নির্বাচনে আদর্শ নির্বাচন বিধি পর্ব মিটে যাওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে আরও কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে চায়। এবং সফলও হয়। তবুও গত সাত দফার নির্বাচনে যা দেখেছি তারই ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মণিপুরে ভোট মিটে যাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রহরায় রাখা হবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্য সরকারের অধীন তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্য সরকার।’
জানা গিয়েছে, ৪০০ কোম্পানির মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় ছয় কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে পাঁচ, কোচবিহারে ১৩, দক্ষিণ দিনাজপুরে সাত, রায়গঞ্জ পুলিস জেলায় ছয়, ইসলামপুর পুলিস জেলায় ছয়, দার্জিলিংয়ে ছয়, শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট এলাকায় পাঁচ, কালিম্পংয়ে চার, জঙ্গিপুর পুলিস জেলায় পাঁচ, মালদহে ১২, আসানসোল পুলিস কমিশনারেট এলাকায় ১১, বীরভূমে ১৮, কৃষ্ণনগর পুলিস জেলায় ১০, মুর্শিদাবাদে ১৬, পূর্ব বর্ধমানে ১৮, রানাঘাটে সাত, বারাসত পুলিস জেলায় সাত, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটে ১৫, বসিরহাট পুলিস জেলায় ১২, বনগাঁ পুলিস জেলায় ১০, চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটে ১০, হুগলি গ্রামীণে ১২, হাওড়ায় ১১, হাওড়া গ্রামীণে আট, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫, বাঁকুড়ায় ১০, ঝাড়গ্রামে ১৩, পুর্ব মেদিনীপুরে ২০, পুরুলিয়ায় ১০, বারুইপুর পুলিস জেলায় ১০, বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটে সাত, ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলায় আট ও সুন্দরবন পুলিস জেলায়
সাত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে।