সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কাল, মঙ্গলবার দেশের ৫৪৩টি আসনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা। মাঝে মাত্র একদিন। কিন্তু এই নিস্তরঙ্গ সময়েও রাজনৈতিক পারদ চরমে নিয়ে গিয়েছে এক্সিট পোল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বলছেন, পুরোটা ধাপ্পা। ৪ জুন এর জবাব মিলবে। ভোটের শেষ লগ্ন পর্যন্ত মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার ফল বিজেপি পাবে। বুথফেরত সমীক্ষার ফল দেখে একেবারেই বিচলিত নন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বরং তাঁর বিশ্বাস, এবারের নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোই ভালো ফল করবে। মমতার কথায়, ‘অরবিন্দ, অখিলেশ, তেজস্বী, স্ট্যালিন, উদ্ধব—সবাই খুব ভালো রেজাল্ট করবে। আমাদের মহাজোট ইন্ডিয়াও ভালো জায়গায় আছে। খুব বেশি মেজরিটি নিয়ে কেউ আসতে পারবে না।’
২০২১ সালে ভাঙা পা নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রচার চালিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু এক্সিট পোল তাঁর হার দেখিয়েছিল। বুথফেরত সমীক্ষার ফল দেখে গেরুয়া শিবির বিভিন্ন জায়গায় আবির খেলাও শুরু করে দেয়। কিন্তু ফল প্রকাশের দিন দেখা যায়, বিজেপির ‘২০০ পারে’র স্বপ্নের ভরাডুবি হয়েছে। তিন অঙ্কেই পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের একের পর এক সভা, ‘দিদি অ দিদি’ স্লোগান ব্যুমেরাং হয়েছে। বাংলার অগ্নিকন্যার মত, এবারও অন্যথা হবে না। বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে তিনি জানিয়েছেন, ‘সবটা টাকার জোরে তৈরি। আমি অন্য রাজ্যের কথা বলতে পারব না। আমার রাজ্যের কথা বলতে পারি। দু’মাস প্রচার করেছি। ঘুরেছি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখেছি। তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পাইনি। আর এটা তো গোপন ভোট। কোন আসনে কে জিতবে, এটা এক্সিট পোল জেনে যাচ্ছে কীভাবে? এটা মানুষকে ধাপ্পা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এই এক্সিট পোল আমি মানি না। এটা ভুয়ো। বিজেপির দালালরা করেছে।’ তাই দল এবং কর্মীদের তাঁর পরামর্শ, ‘হতাশ হওয়ার মতো কিছুই হয়নি। আসল লড়াই এখন। এতদিন লড়াইয়ের পর হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ময়দানে জমি আঁকড়ে থাকতে হবে। যাবতীয় চক্রান্ত ভেস্তে দিতে হবে।’
তবে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তৃণমূলের ভূমিকা কী হবে, সে ব্যাপারে এখনও উত্তর দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, তৃণমূল সরাসরি অংশ হবে, নাকি বাইরে থেকে সমর্থন জোগাবে, সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় এখন নয়। তিনি বলেন, ‘ফলাফল বিশ্লেষণ করার পরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদেরও একটা অঙ্ক আছে। সেই মতো সব দলের সঙ্গে কথা বলব।’ তবে ভোট কেটে নেওয়ার সমীকরণের ব্যাপারে সিপিএমের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা।