সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বর্তমানে জিতুক না জিতুক ভোটটা বোঝে বাম নেতারা, বাঙালি এমনই মনে করে থাকে। ভোট বোঝা সিপিএমের এক নেতার বক্তব্য, ‘সকলে মিলে একটা খিচুড়ি এক্সিট পোল তৈরি করেছে বুঝলেন। এটার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিন্তু স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মানুষের কাছে।’ রবিবার যাদবপুরে একটি চায়ের দোকানে গলা ফাটিয়ে আলোচনা চলছে। অধিকাংশের বক্তব্য, ‘এক্সিট পোলের ট্র্যাক রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। মনে পড়ে বিশ্লেষকরা তৃণমূলকে ১৬০টার মতো আসনের মধ্যে বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল তারা। সমস্ত এক্সিট পোলের নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছিল। এবারও তাই হতে চলেছে।’
রবিবার সুলেখা মোড় ফাঁকাফাঁকা। এক ব্যক্তি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে। বললেন, ‘এই তো আমি আর আপনি এখানে দাঁড়িয়ে। দেখুন, কোথাও একটা গেরুয়া সুতো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বিজেপি কোথাও নেই। তাও ম্যাজিকের মতো এক্সিট পোলে ওদের নাম ভেসে উঠল। সমীক্ষকরা দেখছি, পিসি সরকারেরও উপরে।’ বামেদের এক নামকরা নেতা বললেন, ‘এক্সিট পোল যা হয়েছে, সেটা মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে। দেশের নিরিখেও এ সমীক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আর রাজ্যের ক্ষেত্রে ফলাফল রীতিমতো হাস্যকর।’
বড়বাজারের এক ব্যবসায়ী হিন্দিতে বলেন, ‘দাদা, এবার তো ২০১৯ সালের মতো বিজেপি হাওয়া নেই। তাহলে তারা এত পাবে কী করে? এ এক্সিট পোল ঠিক না। ভেরি কনফিউসিং।’ ধর্মতলার এক দোকানদারের বক্তব্য, ‘বিজেপি তো অর্ধেকের বেশি বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি। শনিবার টিভির চ্যানেলগুলিতে তো এ কথাই বলছিলেন দলের নেতারা। তাহলে এত সিট পাবে কী করে?’ বিজেপির নেতাদেরও একাংশের বক্তব্য, ‘কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা তো বটেই বাংলার প্রায় সর্বত্র দলের সংগঠন বেশ নড়বড়ে।’ ফলে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁরাও টিভি চ্যানেলগুলির সমীক্ষা মেনে নিতে পারছেন না। বিজেপির কলকাতার এক নেতা বেশ রসিক। বলেন, ‘সবই ধ্যানের জাদু। পাহাড়ে ধ্যান হয়েছে। টিভিতে তার ফল ফলেছে।’