সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক দিন ৮-১০ জুন। এবার উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও স্বাভাবিক সময়ের আগেই বর্ষা আসবে কি না, সে-ব্যাপারে নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ ধাক্কায় কয়েকদিন আগে এবং দ্রুত দেশের মূল ভূখণ্ডের বেশ কিছু অংশে বর্ষা ঢুকেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটার পর গত কয়েকদিন ধরে বর্ষার গতিবিধি মন্থর হয়েছে। দিনকয়েক পুরোপুরি থমকে থাকার পর অবশেষে মৌসুমি বায়ু কিছুটা সক্রিয় হলেও এখনও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের পক্ষে তা যথেষ্ট নয়। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এইসময়ে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে তা বর্ষার অগ্রগতিতে প্রভাব ফেলে। এটা হলে তা দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত সেরকম কোনও ইঙ্গিত বঙ্গোপসাগরে নেই।
তবে, বর্ষা না-হলেও বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তের জেরে বিহার ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আগামী বুধবার পর্যন্ত হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি চলবে। বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হবে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে। সেখানে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প প্রবেশ করার ফলে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে সেখানে। একই কারণে বৃষ্টি বেশি হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বড় অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম থাকবে।