বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
কতটা বদল এসেছে শিল্প সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজে? মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায়ের কথায়, আমাদের বণিকসভায় প্রায় প্রতিদিন দু’থেকে তিনটি মিটিং হচ্ছে অনলাইনে। আগে হয়তো সপ্তাহে একটি বা দু’টি বৈঠক হতো। কনফারেন্স রুমে যত জন হাজির থাকতেন, তার চেয়ে অনেক বেশি হাজিরা হচ্ছে জুম বা ওয়েবিনারে। সদস্যদের গাড়ির তেল পুড়ছে না। এসি চালাতে হচ্ছে না। বেঁচে যাচ্ছে মিটিং করার আনুষঙ্গিক খরচও। সবচেয়ে বড় কথা, বেঁচে যাচ্ছে আসা-যাওয়ার সময়। আমরা বুঝতে পারছি, আগামী দিনে এটাই রেওয়াজ হবে। নতুন প্রজন্ম এসবে অভ্যস্থ। যাঁরা এসব এড়িয়ে চলতেন, তাঁরাও বাধ্য হলেন নতুন কৌশল গ্রহণ করতে।
বণিকসভা ভারত চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারি অভীক রায়ের কথায়, আগে আমরা খুব অল্প সংখ্যক মানুষজনদের নিয়ে অনলাইন বৈঠক করতাম। লকডাউনের মধ্যে অনলাইনে তিনটি বড় মিটিং হয়ে গিয়েছে, যেখানে বহু সদস্য যোগদান করেছেন। শুধু আলোচনার মাধ্যমেই বেশ কিছু জটিলতার সমাধানও হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এটিতে খরচও কম। মাসিক ১৫ ডলার খরচে যদি আমরা একসঙ্গে বহু মানুষের সঙ্গে একযাগে বৈঠক করতে পারি, তাহলে এর চেয়ে ভালো বিকল্প আর কী হতে পারে?
ফ্র্যাগরান্সেস অ্যান্ড ফ্লেভার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ঋষভ কোঠারির কথায়, আমরা সংগঠনের তরফে দু’মাসে একবারও ম্যানেজিং কমিটির মিটিং করতাম কি না সন্দেহ। কিন্তু এখন আমরা ১৫ দিনের মধ্যে দু’টি মিটিং সেরে ফেলেছি। সুগন্ধী ব্যবসা অনেকটাই ভোগ্যপণ্যের ভবিষ্যতের উপর নির্ভরশীল। তাই এই পরিস্থিতির কারণে আগামী দিনে কী হতে চলেছে, আমাদের কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা নিয়ে আমরা সম্প্রতি একটি আলোচনায় অংশ নিই, যা সম্প্রচারিত হয় জুম এবং ফেসবুক লাইভে। প্রায় চার হাজার শিল্পকর্তা ও সাধারণ মানুষ সেই আলোচনায় অংশ নেন। অথচ করোনা পর্বের আগে আমরা একবার ইউটিউবে এমনই একটি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন আমরা তেমন সাড়া পাইনি।
শিল্পমহলের সংস্কৃতি যে অনেকটাই বদলে দিতে চলেছে এই লকডাউন পর্ব, তা স্বীকার করেছেন ঋষভবাবু। তাঁর কথায়, আমি আমার কোম্পানির কথা বলতে পারি। আগে আমার বিপণন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হতাম মাসে একবার। সেই জায়গায় দু’দিন অন্তর আমি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারছি। উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, যে কর্মীটি নাগপুর থেকে এসে আমার সঙ্গে বৈঠক করত, তার আর শুধু এই কারণে কলকাতায় আসার দরকার হবে না। এতে তো আমরা খরচ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারব। আসলে জনসংযোগের সংস্কৃতিটাই বদলে দিল সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। মানুষ নতুন এক কৌশলকে কাজে লাগাতে বাধ্য হল, যা খরচ কমাবে। লকডাউনের পর হয়তো অনেকেই পুরনো অভ্যাসে ফিরে যাবে। কিন্তু ২৫ শতাংশ মানুষ তো নতুন নিয়মে থেকে যাবে। এটাই আমাদের প্রাপ্তি।