নয়াদিল্লি ও মুম্বই, ২৪ মে (পিটিআই):  করোনা মহামারী শেষ হয়ে গেলেও চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত। ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট ইন্ডিয়ার সর্বশেষ ইকনমিক অবজার্ভার এমনই পূর্বাভাস দিল। এ প্রসঙ্গে তারা বেকারত্ব বৃদ্ধি, আয় কমে যাওয়া এবং গ্রাহকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সংশয়, সন্দেহকে দায়ী করেছে। তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারের আর্থিক প্যাকেজ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সর্বশেষ সুদের হার কমানোর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে সংস্থাটি।
লকডাউনের মধ্যেই তিন দফায় মোট ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। সেইসঙ্গে অর্থনীতিকে সচল রাখতে বেশ কিছু নিয়মও শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন সম্পূর্ণ উঠে গেলেও রাতারাতি আগের অবস্থায় দেশ ফিরে যাবে না। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সরকারের ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজ। এই প্যাকেজের বাস্তবায়ন এবং ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনার উপর নির্ভর করছে দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ বলে জানিয়েছে ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট ইন্ডিয়া।
সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অরুণ সিং বলেছেন, অর্থনীতির উপর আর্থিক প্যাকেজের বহুমুখী প্রভাব তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। তা হল, লকডাউন তুলতে কত দিন সময় লাগছে, আর্থিক প্যাকেজের কার্যকারিতা এবং ঘোষণা মতো প্যাকেজের বাস্তবায়ন করতে কতদিন সময় লাগছে। অরুণ সিং আরও বলেছেন, সরবরাহের শৃঙ্খল ঠিক রাখতে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু, সেই সরবরাহ যেন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয়। তবে সরকারের আর্থিক প্যাকেজে দেশবাসীর জন্য নগদের সুবিধা না থাকায় পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে সেরকম একটা চাহিদা তৈরি হবে না। সেইসঙ্গে বেকারত্ব বৃদ্ধি, আয় কমে যাওয়া এবং গ্রাহকদের মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছে। যা মহামারী শেষ হওয়ার পরেও চাহিদা না বাড়ায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে দেরি হবে। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের ঋণদানের পরিমাণ এবং অনাদায়ী ঋণের মাত্রা বাড়ছে। আর সে কারণেই অরুণ সিং মনে করছেন, চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসে আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়তে পারে ভারত।