শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মুদ্রা যোজনায় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ছোট শিল্পে যে ঋণ দেওয়া হয়, তা তিন ভাগে বিভক্ত। ৫০ হাজার টাকার কম অঙ্কের ঋণ নিলে, তার পোশাকি নাম ‘শিশু’। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ হলে, তার নাম ‘কিশোর’। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের বহর হলে তাকে ডাকা হয় ‘তরুণ’ নামে। চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত মুদ্রা যোজনার যে হিসেব মিলছে, সেখানে তিনটির মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রেই গত বছরের ঋণের অঙ্ককে ছুঁতে পারেনি এবারের অঙ্ক। শিশু এবং কিশোর—এই দুই ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে রাজ্য। তার জেরে গত আর্থিক বছরের তুলনায় এবার এখনও পর্যন্ত ঋণ কম পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৫৭ জন। ঋণ কম দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।
ছোট শিল্পকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে অতি উৎসাহী, তা বরাবর বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লালফিতের ফাঁস যাতে ঋণের ক্ষেত্রে পথ আটকে না দাঁড়ায়, তার জন্য খোলা হয়েছে আলাদা পোর্টাল। এক ঘণ্টারও কম সময়ে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সরকারের দাবি, সেখানে যথেষ্ট সাড়াও মিলেছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে ছোট সংস্থা, এমনই দাবি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু এত কাণ্ডের পরও মুদ্রা’র ভাঁড় ভালোভাবে উপুড় হল না বাংলায়, বলছে শিল্পমহল। সেক্ষেত্রে একমাত্র মন রেখেছে বড় অঙ্কের ঋণ।
শিল্পমহল বলছে, নোট বাতিল এবং জিএসটি’র প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে অতি ক্ষুদ্র শিল্পগুলির উপর। পাশাপাশি মূলধনের অঙ্ক সামান্য বাড়িয়ে যাঁরা শিল্পের জন্য পা বাড়ান, তাঁদের জন্য রাজ্যে বিনিয়োগের পরিসর বাড়ছে। চলতি আর্থিক বছরেই এরাজ্যে পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার অঙ্কের ছবিটা মোটেও ভালো ছিল না। তা আচমকা বাড়তে শুরু করেছে এই মাসেই। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কগুলি আর্থিক বছরের শেষ লগ্নে এসে ঋণের জন্য দরাজ হয়েছে বলেই মনে করছে শিল্পমহল। সেই হাত ধরেই স্লগ ওভারে এসে ঋণদানে বড় রান তুলতে চাইছে ‘মুদ্রা’। শিল্পমহলের ব্যাখ্যা, ঋণ বাড়লে, তা আদতে রাজ্যেরই ভালো হবে। তাই তিনটি বিভাগের মধ্যে একটি বিভাগের ঋণ বৃদ্ধিকে আশার আলো হিসেবেই দেখছে তারা।