শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ৪৫ নম্বর বাড়িটিতে বিশাল চত্বরজুড়ে রয়েছে ওই সরকারি শিল্প ও বাণিজ্য সংগ্রহশালা ও লাইব্রেরি। বাংলায় ভারী শিল্প থেকে শুরু করে ছোট, মাঝারি বা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের যে গরিমা রয়েছে, তারই ইতিহাস বুকে ধরে রয়েছে এই মিউজিয়াম। এখানে দিনে বড়জোর ছ’-সাতজন দর্শক আসেন। কর্মীদের আক্ষেপ, এখানে যে এত জিনিস আছে, তা আর জানেন ক’জন? অথচ এখানকার দর্শক তালিকা তাক লাগানোর মতো। ১৯৩৯ সালের ৮ নভেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে এসেছিলেন। এসেছেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সরোজিনী নাইডু, আর্থার মুর, গুরুসদয় দত্ত, বিধানচন্দ্র রায়ের মতো বিশিষ্টরা। একসময় এখানে নাকি বহু মানুষ আসতেন। কলকাতার দ্রষ্টব্য স্থানগুলির মধ্যে এই শিল্প-মিউজিয়ামও ছিল অন্যতম।
সংগ্রহশালা সংলগ্ন লাইব্রেরিতে ছাপা অক্ষরে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে এই বাংলা তথা গোটা দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত দুষ্প্রাপ্য বই। লন্ডন থেকে ছাপানো বইয়ের সম্ভার রীতিমতো চমকদার। রয়েছে অজস্র ‘বিজনেস ম্যাগাজিন’, যার বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর। প্রাক স্বাধীনতার বইও আছে অনেক। কিন্তু ধুলোয় ঢাকা সেইসব বইয়ের দখল নিয়েছে উইপোকা। লাইব্রেরিয়ানের কথায়, মাঝে মাঝে বিভিন্ন গবেষক আসেন। পড়াশোনা করেন। কিন্তু বেশিরভাগ দিনই এই লাইব্রেরি দর্শক ও পাঠকশূন্য থাকে। লোহার জাল দিয়ে ঘেরা লাইব্রেরির দেওয়ালের অন্য প্রান্তে থাকা পায়রার বকবকম ডাক মাঝেমধ্যে জাগিয়ে রাখে এই লাইব্রেরিকে। অবহেলা এখানকার নিত্য দখলদার। একবার এলেই তা বুঝতে পারেন দর্শক। মিউজিয়ামের কর্মীদের অভিযোগ, আগে প্রায় ৩০ জন কর্মচারী ছিলেন। এখন সাকুল্যে জনাসাতেক। আর লাইব্রেরিয়ানের আক্ষেপ, তাঁর অবসর আসন্ন। তারপর?
সংগ্রহশালা ও লাইব্রেরিতে বঞ্চনা যে রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছে শিল্পদপ্তরও। তাদের দাবি, পরিস্থিতি বদলাবে। সূত্রের খবর, সংগ্রহশালা ও লাইব্রেরির সংস্কারের জন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং মাঝারি, ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তরের তরফে। পুনরুদ্ধার কোন পথে, তৈরি হচ্ছে তার ব্লু প্রিন্ট।