শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
দলে অনেক ফুটবলার চোটের কবলে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার গোয়ার বিরুদ্ধে একাধিক পরিবর্তনের পথে হাঁটতে হয়েছিল কোচ অস্কার ব্রুজোঁকে। শৌভিক, আনোয়ার, সাউলদের অনুপস্থিতিতে দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুন বিদেশি রিচার্ড সেলিসকে শুরু থেকে নামান তিনি। মাত্র চারদিন অনুশীলন করলেও, প্রথমদিনেই বেশ নজর কাড়লেন ভেনেজুয়েলার মিডিও। চলতি মরশুমে দারুণ ছন্দে রয়েছে গোয়া। শেষ ১০ ম্যাচে অপরাজিত তারা। রবিবার ঘরের মাঠে শুরুতেই গোল তুলে নেয় মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। ১৩ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তনী বোরহা হেরেরার ঠিকানা লেখা সেন্টার থেকে হেডে জাল কাঁপান ব্রাইসন ফার্নান্ডেজ (১-০)। শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় ইস্ট বেঙ্গল। বিষ্ণু-সেলিসরা উইং থেকে গতি বাড়িয়ে আক্রমণ শানালেও সন্দেশকে পরাস্ত করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। আসলে মাঝমাঠে খেলা তৈরি করার লোকের অভাবে এদিন আরও একবার ভুগল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দিয়ামানতাকোস পুরো সময়টা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের আড়ালেই লুকিয়ে থাকলেন। এরই মধ্যে ৩৫ মিনিটে ইকের গুয়ারোৎজিনার শট পোস্টে ধাক্কা না খেলে প্রথমার্ধেই দু’গোলে এগিয়ে যেতে পারত গোয়া।
অস্কার জমানায় পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে ইস্ট বেঙ্গল। এদিন আরও একবার সেই চেষ্টায় চালান জিকসন-নন্দরা। এই পর্বে অনেক বেশি চনমনে দেখায় সেলিসকে। ৫৩ মিনিটে তাঁর শট শেষ মুহূর্তে বরিস বিপন্মুক্ত না করলে ম্যাচে সমতায় ফিরতে পারত ইস্ট বেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বক্সে চাপ বজায় রাখতে ডেভিডের জায়গায় ক্লেটনকে মাঠে নামান অস্কার। ৬৭ মিনিটে চেস্ট রিসিভ করে প্লেস করেন সেলিস। এক্ষেত্রে দুরন্ত সেভ গোয়া গোলরক্ষক হৃত্বিকের। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল গোয়ার সামনেও। তবে ফাঁকা গোল পেয়েও বল বাইরে মারেন সাদিকু। এরপর সংযোজিত সময়ে হিজাজিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন তিনি।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, নন্দ, লালচুংনুঙ্গা, হিজাজি, নিশু, বিষ্ণু, জিকসন, মহেশ (মার্ক), সেলিস (সায়ন), ডেভিড (ক্লেটন) ও দিয়ামানতাকোস।
এফসি গোয়া- ১ : ইস্ট বেঙ্গল-০
(ব্রাইসন)