কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
ভারতের পার্সেন্টেজ পয়েন্ট এখন ৬১.১১। দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসা অস্ট্রেলিয়ার পকেটে ৫৭.৬৯ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। তবে ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করতে ভারতকে অজিদের বিরুদ্ধে পরের চার টেস্টের অন্তত তিনটিতে জিততে হবে। এই সিরিজ ৪-০ জিতলে ভারতের পার্সেন্টেজ পয়েন্ট দাঁড়াবে ৬৫.৭৯। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও দলের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করতে হবে না রোহিত শর্মার বাহিনীকে। কারণ, ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে ৩-০ হারালেও নিউজিল্যান্ড পার্সেন্টেজ পয়েন্টে টপকাতে পারবে না ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি পরপর শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে ২-০ ফলে হারিয়ে সর্বাধিক ৬৯.৪৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্টে পৌঁছয়ও, টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় স্থানে থেকেই যাচ্ছে। তাই ফাইনালে খেলতে অসুবিধা হওয়ার নয়। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড পরের টেস্টগুলোতে এমন দাপট দেখাতে না পারলে ভারতের পথ সহজ হবে। সেক্ষেত্রে অজিদের বিরুদ্ধে ৪-০ না জিতলেও অসুবিধা হবে না চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে নামতে।
দেশে-বিদেশে অসংখ্য স্মরণীয় টেস্ট জয় রয়েছে ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও সেই সংখ্যাটা নিছক কম নয়। ২০০৩ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে অ্যাডিলেডে জিতেছিল সৌরভ গাঙ্গুলির দল। ২০০৮ সালে এই পারথেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অনিল কুম্বলের ভারত। তখন অবশ্য খেলা হয়েছিল ওয়াকা স্টেডিয়ামে। তিন বছর আগে গাব্বায় ঋষভ পন্থের ব্যাটে সিরিজ জয়ের কাহিনী লেখে ভারত। কিন্তু কোনও টেস্টেই প্রথম ইনিংসে দেড়শো রানে খতম হওয়ার পর এমন দাপটে, প্রায় তিনশো রানে জয় আসেনি। সেজন্যই অপ্টাস স্টেডিয়ামের জয় এত মধুর।
এই ঐতিহাসিক জয়ের কারিগর অবশ্যই বুমরাহ। বাইশ গজে যখন অন্য বোলাররা সাদামাটা তখনও তিনি বিধ্বংসী। প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি সেজন্যই বলেছেন, ‘বুমরাহ গ্রেট। কী অসাধারণ বোলিং করল!’ এই জয়ে অবশ্য অবদান রয়েছে যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, মহম্মদ সিরাজ, নীতীশ রেড্ডি, হর্ষিত রানাদেরও। সামনে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ। কোচ গৌতম গম্ভীরের কাজ অবশ্য একটাই। আত্মতুষ্টিকে শিবিরের ধারেকাছে ঘেঁষতে না দেওয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল কিন্তু এখনও অনেক দূরেই!
স্কোরবোর্ড: ভারত প্রথম ইনিংস ১৫০। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ১০৪। ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ৪৮৭-৬ (ডিঃ)। অস্ট্রেলিয়া (১২-৩ এর পর): খাওয়াজা ক পন্থ বো সিরাজ ৪, স্মিথ ক পন্থ বো সিরাজ ১৭, হেড ক পন্থ বো বুমরাহ ৮৯, মার্শ বো নীতীশ ৪৭, ক্যারি বো হর্ষিত ৩৬, স্টার্ক ক জুরেল বো সুন্দর ১২, লিয়ঁ বো সুন্দর ০, হ্যাজলউড অপরাজিত ৪, অতিরিক্ত ২৪, মোট (৫৮.৪ ওভারে) ২৩৮। উইকেট পতন: ৪-১৭, ৫-৭৯,৬-১৬১, ৭-১৮২, ৮-২২৭, ৯-২২৭, ১০-২৩৮। বোলিং: বুমরাহ ১২-১-৪২-৩, সিরাজ ১৪-২-৫১-৩, হর্ষিত ১৩.৪-১-৬৯-১, সুন্দর ১৫-০-৪৮-২, নীতীশ ৪-০-২১-১।
ভারত ২৯৫ রানে জয়ী।
ম্যাচের সেরা বুমরাহ।