শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
গত ১২ বছরে দেশের মাটিতে কখনও সিরিজ হারেনি ভারত। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ দখল করেছিল টিম ইন্ডিয়া। ঠিক যেভাবে গত অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেড টেস্টে ৩৬ রানে অল-আউটের ধাক্কা সামলে নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উজ্জ্বল নিদর্শন রেখেছিল রাহানে ব্রিগেড। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তেমনই রোমহর্ষক পটপরিবর্তন দেখা যাবে কিনা, তা সময় বলবে। তবে ২৪ অক্টোবর পুনেতে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কৌশলে কিছু বদল আনতে চাইছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। একটা বিষয় স্পষ্ট, টিম ইন্ডিয়ার তুলনায় নিউজিল্যান্ডের পেস অ্যাটাক অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে ম্যাট হেনরি এবং উইলিয়াম ও’রৌরকি যেভাবে গতির সঙ্গে সুইংয়ের মিশেলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলছেন, তাতে পেস সহায়ক উইকেটে খেলার ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। পুনের পিচ কেমন হতে পারে তার ইঙ্গিত মিলেছে ওয়াশিংটন সুন্দরের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তিতে। তিনি খেলবেন কিনা সেটা বড় ব্যাপার নয়। তবে নেট প্র্যাকটিসে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা হবে। আসলে চিন্নাস্বামীর পিচ ছিল ফ্ল্যাট। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অল-আউট হওয়াটাই কাল হয় টিম ইন্ডিয়ার। পুনেতে ভারত স্লো টার্নিং পিচে খেলতে চাইছে। স্থানীয় কিউরেটরের কাছে তেমন বার্তাও পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে কুলদীপ যাদব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। একই রকম উইকেট হতে চলেছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেও। পার্থক্য শুধু দেখা যেতে পারে বাউন্সের ক্ষেত্রে। কারণ পুনের পিচে ব্যবহার করা হয়েছে কালো মাটি। আর ওয়াংখেড়েতে লাল। তাই বাউন্স বেশি দেখা যেতে পারে মুম্বই টেস্টে।
এদিকে, ঋষভ পন্থের চোট এবং লোকেশ রাহুলের অফ ফর্ম নিয়ে চিন্তায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে হাতে কিছুটা সময় রয়েছে। তাই ঋষভের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না কোচ গম্ভীর। কিন্তু লোকেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং নিয়ে হতাশা বাড়ছে দলে। শুভমান গিল সুস্থ হয়ে উঠলে সরফরাজ খানকে কোন পজিশনে খেলানো হবে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।