গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বিরাটদের বিদায়ের চিত্রনাট্য প্রথমার্ধেই লেখা হয়েছিল। জেতার মতো রান ওঠেইনি বোর্ডে। তবে তারপরও লড়াই চালানো যেত। কিন্তু ব্যাটিংয়ের মতো ডোবাল বোলিং-ফিল্ডিংও। বড় মঞ্চে একসঙ্গেই যেন ‘চোক’ করে গেল গোটা দল। মহম্মদ সিরাজ, যশ দয়ালদের নির্বিষ দেখাল। ম্যাক্সওয়েলের মতো ফিল্ডার ফেললেন সহজ ক্যাচ। ভাগ্যের সহায়তাও পেলেন যশস্বী জয়সওয়ালরা। ওপেনিংয়ে উঠেছিল ৪৬ রান। জস বাটলারের পরিবর্ত টম কোহলার-ক্যাডমোর (২০) বেশিক্ষণ না থাকলেও যশস্বী করলেন ৪৫। অধিনায়ক স্যামসন (১৭) যখন ফিরলেন তখন ১০.১ ওভারে স্কোর ৮৫-৩। ব্রুব জুরেল (৮) ভরসা জোগাতে ব্যর্থ। কোহলির দুরন্ত ফিল্ডিংয়ের সুবাদে রান-আউট হন তিনি। এই পর্বে লড়াইয়ে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় বেঙ্গালুরু। তবে ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ শিমরন হেটমায়ারের (২৬) সঙ্গে ৪৫ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপে রাজস্থানকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান রিয়ান পরাগ (৩৬)। এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে সিরাজ কিছুটা ধাক্কা দিলেও শেষ পর্যন্ত রোভম্যান পাওয়েল (অপরাজিত ১৬ রান) দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
আমেদাবাদে এখন দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির উপরে থাকছে। সন্ধ্যায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছিল খেলা। তার মধ্যেই কোহলিকে ঘিরে উন্মাদনা বাড়ছিল গ্যালারিতে। কিন্তু স্বমহিমায় পাওয়া গেল না তাঁকে। ট্রেন্ট বোল্টের তিন ওভারের দুরন্ত স্পেলের সামনে কেমন যেন গুটিয়ে থাকল আরসিবি। বাঁ হাতি কিউয়ি পেসার ওই স্পেলে দিলেন মাত্র ৬ রান। বোল্টের বলে ডু’প্লেসির (১৭) ক্যাচ অসামান্য দক্ষতায় ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে শরীর ছুড়ে ধরলেন পাওয়েল। কোহলি (৩৩) খেলছিলেন ভালোই। কিন্তু যুজবেন্দ্র চাহালকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন তিনি। তার মধ্যেই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ৮ হাজার রানের গণ্ডি পেরলেন।
পাওয়ার প্লে’তে ৫০-১ ছিল আরসিবি’র স্কোর। তৃতীয় উইকেটে ক্যামেরন গ্রিন ও রজত পাতিদার যোগ করেন ৪১ রান। কিন্তু পরপর দু’বলে গ্রিন (২৭) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (০) ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই নিয়ে আইপিএলে মোট ১৮ বার শূন্য রানে আউট হলেন অজি মিডল অর্ডার ব্যাটার।
মিডল ওভারে আরসিবি ইনিংসকে চাপে রাখলেন অশ্বিন। চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তাঁর সংগ্রহ দুই উইকেট। রজত পাতিদার (৩৪) অবশ্য ম্যাচের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আভেশ খান ফেরালেন তাঁকে। পরের বলেই এলবিডব্লু হন দীনেশ কার্তিক। বিতর্কিত রিভিউয়ে যদিও বেঁচে যান তিনি। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে মহীপাল লোমরোরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৩২ রান যোগ করেন কার্তিক (১১)। ১৭ বলে লোমরারের ৩২ রানই দেড়শোর গণ্ডি টপকে দেয়। শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানে থামে ইনিংস। রাজস্থানের সফলতম বোলার আভেশ খান (৩-৪৪)।