সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এটা আর পাঁচটা সাধারণ টেস্ট ম্যাচ নয়। দু’বছরের বেশি সময় ধরে চালিয়ে যাওয়া লড়াইয়ের ফসল ঘরে তোলার পালা। দুই অধিনায়ক কোহলি ও উইলিয়ামসনের সামনে নজির গড়ার হাতছানি। দীর্ঘদিন তাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশকে। কিন্তু আইসিসি’র বড় কোনও ট্রফি নেই তাঁদের ক্যাবিনেটে। এবার সেই আক্ষেপ মেটানোর সুবর্ণ সুযোগ দুই অধিনায়কের সামনে।
খেলা যেহেতু নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তাই বাড়তি সুবিধা পাবে না কোনও পক্ষই। ম্যাচে ব্যবহার করা হবে ডিউক বল। যার সঙ্গে মোটেও সড়গড় নয় দুই দলের ক্রিকেটাররা। ডিউক বলে স্যুইং হয় বেশি। আর খেলা যেহেতু রোজ বোলে, তাই নতুন বলে প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যানদের কাজটা সবচেয়ে কঠিন হবে। তার উপর রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং খুবই শক্তিশালী। অতীতে তার প্রমাণও পেয়েছেন কোহলিরা। গত বছর উইলিয়ামসনদের দেশে গিয়ে টেস্ট সিরিজে বিশ্রীভাবে হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসন ও নেইল ওয়াগনারকে খেলতে হবে সাবধানে। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের অনেক বেশি সময় ক্রিজে কাটানো উচিত। সেট হয়ে গেলে রান পেতে সমস্যা হবে না।
ইংল্যান্ডে খেলার অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানের। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম বড় স্তম্ভ তাঁরা। ত্রয়ী যদি ছন্দে থাকেন, তাহলে সম্মানজনক স্কোর বোর্ডে রাখতে সমস্যা হবে না ভারতীয় দলের। সেই সঙ্গে ঋষভ পন্থ যদি ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন, তাহলে তো আর কথাই নেই। যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মারা আগলে রাখার মতো পুঁজি পেয়ে যাবেন।
প্রথম একাদশে সিরাজ নয়, জাদেজাকে বেছে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। দুই স্পিনার নিয়ে নামবেন কোহলি। এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, তা সময় বলবে। তবে জাদেজা ও অশ্বিনকে এক সঙ্গে খেলানোর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু যুক্তি। শেষবার এই মাঠে ভারত হেরেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দুর্দান্ত বল করেছিলেন ইংরেজ স্পিনার মঈন আলি। তাছাড়া কয়েকদিন আগেই রোজ বোলের কিউরেটর ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরের দিকে বল টার্ন করবে। কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে স্পিনারদের বিরুদ্ধে। সেখানেই হয়তো আঘাত হানতে চাইছেন কোহলিরা। তাছাড়া জাদেজা ও অশ্বিন ব্যাট হাতেও সাহায্য করতে পারেন দলকে।
লড়াই যে কঠিন, সেটা ভালোই জানেন কোহলিরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতার পর ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে অনেকেই কিউয়িদের এগিয়ে রাখছেন। তার একটা কারণ, টম লাথাম, ডেভন কনওয়েদের দুরন্ত ফর্ম। কেন উইলিয়ামসন, রস টেলররা ম্যাচ উইনার। নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়েও রয়েছে যথেষ্ট ভারসাম্য। তাই কিউয়িরা খেতাব জিতলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।