পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ভ্লগারদের দাপট: ভ্লগ ও রিলসের সেরা ঠিকানা হয়েছে পৌষমেলা। মেলা শুরু হতেই ভিডিও ক্যামেরা, স্মার্টফোন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভ্লগাররা। পিঠে বানানো থেকে শুরু করে বাদাম ভাজা, বাউল গান থেকে মোগলাই সবই তুলে ধরছেন নিজেদের ক্যামেরায়। তারপর এডিটিং করে নিজেদের পেজে। যেমন বেশি ভিউ তেমন উপার্জন। এতে মেলায় যাঁরা আসতে পারেননি তাঁদের কিছুটা আক্ষেপ মিটেছে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই।
শিশুদের পরিচয়পত্র: মেলায় হারিয়ে যাওয়া নতুন বিষয় নয়। কিন্তু শিশু হারিয়ে গেলে অভিভাবকরা দিশাহারা হয়ে পড়েন। অনেক মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে কান্নাকাটিও করেন। মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও রয়েছে অনুসন্ধান অফিস ও পুলিস কন্ট্রোল রুম। কিন্তু বাচ্চা হারিয়ে গেলে তাকে যাতে সহজে চিহ্নিত করা যায়, তার জন্য অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্বভারতীর এনসিসি বিভাগ। শিশুর নাম, অভিভাবকের নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা প্রভৃতি একটি কার্ডের মধ্যে লিখে শিশুর গলায় ঝুলিয়ে দিচ্ছেন এনসিসির পড়ুয়ারা। এতে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। এনসিসির এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।
উপার্জনে পড়ুয়ারাও: মেলায় বিশ্বভারতীর প্রদর্শনী প্রাঙ্গণের সামনে শিল্পসামগ্রীর পসরা পেতে বসেছেন অনেক তরুণ-তরুণী। তাঁরা বিশ্বভারতীর কলাভবনের পড়ুয়া। সারা বছরই তাঁরা শিল্পসৃষ্টির কাজে মেতে থাকেন। যা তৈরি করতে গাঁটের কড়ি ভালোই খরচ হয়। বাড়ি থেকে টাকা পাঠালেও মাসের শেষে খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় অনেক পড়ুয়াকে। তাই শিল্প সামগ্রী বিক্রি করতে তাঁরা মেলার মাঠকে বেছে নিয়েছেন। বিক্রির ফাঁকে সুস্বাগতা, অতসীরা জানালেন শিল্পচর্চা আমাদের রোজকার কাজ। সেগুলি বিক্রি করে উপার্জন মন্দ হয়নি। এতে রথ দেখা কলা বেচা দুই হয়েছে। বেঁচে থাকুক আমাদের পৌষমেলা।
দুগ্গা দুগ্গা: শান্তিনিকেতনে পৌষমেলায় ডোকরার একটি দুর্গামূর্তির দাম ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা! যা মফস্সলের দুর্গাপুজোর বাজেটের চেয়েও বেশি। মূর্তির কারিগর হরেন্দ্রনাথ রানা। তিনি বাঁকুড়ার কেশিয়াকোল থেকে এসেছেন। দীর্ঘ তিন মাস ধরে মূর্তিটি তিনি তৈরি করেছেন। তাতে ব্যবহৃত হয়েছে এক কুইন্টাল পিতল। নিখুঁতভাবে তৈরি দুর্গামূর্তিটির দাম জানাজানি হতেই দোকানের সামনে ভিড় করেছেন উৎসাহীরা। অনেকের দাবি, এই দুর্গামূর্তিই এবার পৌষমেলায় সবচেয়ে দামি। তাই মূর্তির ছবি তুলে ‘দুগ্গা দুগ্গা’ বলে কেটে পড়ছেন দর্শনার্থীরা।