পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কলকাতার এক যুবতী ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। নামী হোটেলে ডেকে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকী খুনের চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ ডিসেম্বর বহরমপুর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি বেলঘরিয়া এলাকায় হলেও তিনি চাকরিসূত্রে বহরমপুর শহরে থাকেন। গত ৮ অক্টোবর গল্ফগ্রিনের ওই যুবতীকে কলকাতায় নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান চিকিৎসক। তারপর ডিনারে যাওয়ার নাম করে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়। তা খাওয়ার পরই ওই যুবতী অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর ২ ডিসেম্বর ফের ওই যুবতীকে বহরমপুরের একটি হোটেলে ডেকে একই ঘটনা ঘটানো হয়। এমনকী যুবতীর গলা চেপে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিস মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। পুলিস নির্যাতিতা যুবতীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করায়। সেই সঙ্গে আদালতে গোপন জবানবন্দিরও ব্যবস্থা করে। মামলা দায়ের হতেই ওই চিকিৎসক গা ঢাকা দেন। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিস। অবশেষে ঘটনার ১৭দিন পর বহরমপুর জেলা আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করল অভিযুক্ত। এদিন জেলা আদালতে এসে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মণিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং জেলার বর্ষীয়ান আইনজীবী পীযূষকান্তি ঘোষ ওই চিকিৎসকের হয়ে সওয়াল করেন।
পীযূষকান্তিবাবু বলেন, আদালতে ওই চিকিৎসক আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগে দু’টি জায়গার ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই অভিযোগ, যথেষ্ট সন্দেহজনক। প্রথম ঘটনার পর কোনও অভিযোগ হল না কেন? দ্বিতীয়বার কলকাতা থেকে বহরমপুর চলে আসেন ওই যুবতী। উনি যদি কোনও আশঙ্কা করতেন, তাহলে এখানে কেন এলেন? আমরা সমস্ত যুক্তি দিয়ে আদালতের সামনে পেশ করেছি।
সরকারি আইনজীবী উৎপল রায় বলেন, আমরাও বিভিন্ন তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।