কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
শ্রীখণ্ড মধুমতি সমিতির সম্পাদক অনুপম ঠাকুর বলেন, এবার বিশাল মেলাও বসেছে। গ্রামে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। প্রত্যেক মানুষকে এবারও মোচ্ছব খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাঁকজমক করেই উৎসব পালিত হচ্ছে। এবার ৪৬২ তম উৎসব পালিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫৬২ সালে নরহরি সরকারের তিরোভাব হয়। সেই উপলক্ষ্যে কার্তিকের কৃষ্ণা একাদশী তিথিতে মেলার আয়োজন করা হয়। পরম বৈষ্ণব শ্রীনিবাস মহাজন, গদাধর দাস, নিত্যানন্দ পুত্র বীরভদ্র সহ মহাজনদের উদ্যোগে বড়ডাঙায় নরহরির সাধনস্থলে মেলার সূচনা হয়। এদিন দুপুরে শ্রীখণ্ডে নরহরি সরকার ঠাকুরের সাধনস্থল থেকে গৌরাঙ্গের দারুমূর্তি পালকিতে চড়িয়ে বাজনা ও কীর্তন সহযোগে প্রায় দু’কিমি পথ পাড়ি দিয়ে বড়ডাঙার ভজনস্থলে আনা হয়। তারপর সেখানেই নানা রীতির মধ্যে দিয়ে নরহরি সরকারের তিরোভাব দিবস পালিত হচ্ছে। গৌরাঙ্গ দারুমূর্তি দর্শনে প্রচুর ভক্ত এই বড়ডাঙায় এসেছেন।
জনশ্রুতি আছে, ১৫১৪ সালে কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ থেকে নীলাচল যাত্রার সময় মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব এই বড়ডাঙায় নরহরি সরকার ঠাকুরের সাধনস্থলে নিশিযাপন করেন। এই ভূমি চৈতন্য পাদস্পর্শে সমৃদ্ধ বলে বৈষ্ণব ভক্তরা বছরের নির্দিষ্ট দিনে এসে মাটি স্পর্শ করেন।
১৪৭৮ সালে শ্রীখণ্ডের বৈদ্য পরিবারে নরহরি সরকারের জন্ম হয়। চৈতন্যদেবের জীবদ্দশায় শ্রীখণ্ডে গৌরাঙ্গ বিগ্রহের পুজোর প্রবর্তন করে নরহরি বৈষ্ণব সমাজে ভিন্নমতের প্রতিষ্ঠা করেন। এই বৈষ্ণব সাধনস্থলে বসে পরবর্তী সময়ে সাধক লোচন দাস ‘চৈতন্য মঙ্গল’ গ্রন্থ রচনা করেন। এবার গ্রামে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি মেলায় স্টল বসেছে। গ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাউল, পালাকীর্তনের আসর বসেছে।-নিজস্ব চিত্র