কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
স্বরূপগঞ্জ ঘাট বাসস্ট্যান্ডে সংলগ্ন স্নানের ঘাটটি বেশ কয়েক বছর ধরে বেহাল। ওই এলাকাজুড়ে জমে থাকে আবর্জনার স্তুপ। ফেলা হয় প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে চায়ের কাপ, খাবারের উচ্ছিষ্ট। এমনকী, রাতে অনেকে এখানে মৃত প্রাণীর দেহ ফেলে বলেও অভিযোগ। এই আবর্জনার পাশে স্নান করায় স্থানীয়দের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এব্যাপারে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
নবদ্বীপ ব্লকের স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীনে এই স্নানের ঘাট। পাশে রয়েছে প্রাচীন অভয়া কালীমন্দির। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মন্দির দর্শনে আসেন বহু ভক্ত। স্বরূপগঞ্জ, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর এবং মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা বিয়ে, শ্রাদ্ধ, অন্নপ্রাশন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ঘাটটি ব্যবহার করেন।
চরস্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা সুষমা দাস ও মনিকা সরকার বলেন, প্রতিদিন না এলেও কোনও পুজো বা অনুষ্ঠানে আমাদেরকে গঙ্গাস্নান করতে হয় আবর্জনার দুর্গন্ধকে সঙ্গে নিয়েই। কী করব, কিছুই করার নেই। ঘাটের এই পরিস্থিতিতে বাসস্ট্যান্ডে আসা যাত্রীদেরও দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়।
স্বরূপগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের বাসিন্দা রাজু সাহা বলেন, স্নানঘাটের পাশেই রয়েছে পুরনো অভয়া কালীমন্দির। প্রতিদিন ভক্তরা মন্দির দর্শনে আসেন। আবর্জনার দুর্গন্ধে তাঁরাও সমস্যায় পড়েন। ওই ঘাটের পাশেই তৈরি হয়েছে ঠাকুর বিসর্জনের ঘাট। অনেকসময় সেই ঘাটে জলের নীচে বাঁশের গোঁজ পড়ে থাকে, তাতে অনেকেই আঘাত পান।
স্বরূপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান ছবি হালদার বলেন, এই স্নানের ঘাটে আবর্জনা ফেলা হয়েছে। সেগুলিকে পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি ঘাটটি নতুন করে সংস্কার করা হবে। এই নিয়ে পঞ্চায়েতে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। ওখানে একটা সময় সিঁড়ির ঘাট ছিল। এই সমস্যা নিয়ে আমরা বিডিওর কাছেও আবেদন করব।
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, এখানে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখার প্রাথমিক দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। গঙ্গার জল যাতে দূষিত না হয় সেদিকটা আমরা দেখছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত যদি সমাধান না করে তাহলে আমরা অতিসত্বর কিছু একটা ব্যবস্থা নেব। -নিজস্ব চিত্র