কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
তবে, ঘটনার দিন রাতে ছাত্রী স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল, নাকি তাকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিস। ঘটনার দিন ছাত্রীর কাছে একটি ব্যাগ ছিল। সেটার খুঁজে পেতে এখন মরিয়া তদন্তকারীরা। ওই ব্যাগে ছাত্রী খুনের কোনও সূত্র পাওয়া যেতে পারে বলে তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা। এদিকে, সোমবার ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। রিপোর্ট এলে শারীরিক সম্পর্ক ও খুনের বিষয়টিও অনেকটা পরিস্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা স্পষ্ট হয়ে যাবে পুলিসের কাছে। কারণ, একজনের পক্ষে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া খুব সহজ কাজ নয় বলেই তদন্তকারীদের ধারণা। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। পাশাপাশি, নিহত ছাত্রীর কাছে থাকা একটি ব্যাগের খোঁজ করা হচ্ছে। এগুলি পেলে তদন্তের কাজ অনেকটাই সহজ হবে।
ধৃত ফারুককে জেরা করে ছাত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি জানা গিয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁরা জানতে পেরেছেন তিন বছরে দু’জনের মধ্যে ২০ বার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ফারুক এই সম্পর্কে থাকাকালীনই পড়াশোনা ছেড়ে পুনেতে কাজে চলে যায়। কিছুদিন হল সে ফিরে আসে। ঘটনার দিন রাতেও দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল বলে ফারুক পুলিসকে জানিয়েছে। আদাপোতায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর কিছু দূরেই এক জায়গায় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। তারপর রাতের অন্ধকারেই ডিঙায় চেপে কলিঙ্গ খাল পার হয় দু’জনে। তখনই ছাত্রীটি ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি কিছু পরেই তাকে মেরে ফেলা হবে। জানা গিয়েছে, খালের পাড়ে একটি জমিতে আচমকা ছাত্রীটির গলা চেপে ধরে ফারুক। শ্বাসরোধ হয়ে ছটফট করতে থাকে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মাটিতে পুঁতে দেয় নাবালিকা ছাত্রী দেহ।
এদিকে ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাকে বাড়ি থেকে জোর করেই তুলে আনা হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তৎক্ষণাৎ কেন পরিবারের বাকি সদস্যরা জানতে পারল না? এই প্রশ্ন তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিঢ় বাড়ির লোকজন। সেইমতো বিয়ের দিনক্ষণও চুড়ান্ত হয়েছিল। অন্যদিকে, ফারুকের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে মেনে নিচ্ছিল না। এই নিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে ঝামেলাও হয় দুই পরিবারের মধ্যে। কিন্তু তিন বছরের সম্পর্ক ভেঙে দিতে চায়নি ছাত্রীটি। সম্ভবত, ফারুককে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করেছিল। উভয় সঙ্কটে পড়ে ফারুক প্রেমিকাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্ট করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় (ফাইল চিত্র)। ছাত্রীর মায়ের বিলাপ। নিজস্ব চিত্র)