শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
বড়মার প্রতি বর্ধমানের বাসিন্দাদের ভক্তি, শ্রদ্ধা অপরিসীম। প্রতিদিনই মায়ের নিত্যপুজো দেখতে শহরের বাসিন্দারা ভিড় করেন। সন্ধ্যারতি দেখতেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা মন্দিরে আসেন। কালীপুজোর দিন মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।
গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মন্দিরে থাকেন। ভক্তিভরে মায়ের পুজো দেখেন। শহরের বাসিন্দা অনসূয়া দাস বলেন, প্রায়দিনই মন্দিরে আসি। বিশেষ দিনগুলিতে মন্দিরে আসিনি এমন বছর আসেনি। কালীপুজোর রাতেও মায়ের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে আসি। মা আশা পূরণ করেন। আর এক ভক্ত বলেন, মা সবার ইচ্ছে পূরণ করেন। কেউ বিপদে পড়লে মায়ের শরণাপন্ন হন। কালীপুজোর রাতে অন্যান্য মন্দিরে গেলেও বড় মায়ের কাছে অনেকেই আসেন। এখানকার মায়ের রূপ অন্যরকম। অষ্টধাতুর এত বড় মূর্তি খুব কম জায়গায় রয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মায়ের টানে শহরের বাইরে থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা মন্দিরে আসেন। কালীপুজোর রাতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিস মোতায়ন করা হয়। ভক্তরা লম্বা লাইনে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে মায়ের পুজো দেন।
মন্দিরের সেবাইত বলেন, অঙ্গরাগ চললেও মায়ের পুজো বন্ধ থাকে না। নিত্যদিনই পুজো করা হয়। এই সময় মাকে নতুন সাজ পরানো হয়। সেই কারণেই কয়েকটা দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। এছাড়া বছরের প্রতিটি দিনই মন্দির খোলা থাকে। পুজো দিতে কারও সমস্যা হয় না। কালীপুজোর আগে মায়ের অঙ্গরাগ করা হয়।
মন্দিরের গেট খোলার সময় মাকে দেখার জন্য অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন। কালীপুজোর সকাল থেকে অন্য জেলার ভক্তরাও মন্দিরে আসেন। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মায়ের আরতির দৃশ্য অনেককেই মুগ্ধ করে। নিজস্ব চিত্র