শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় আরামবাগ মহকুমায়। ছয়টি ব্লকই কমবেশি প্লাবিত হয়েছিল। তবে খানাকুল ১ ও ২ ব্লকের সমগ্র অংশই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে জল যন্ত্রণায় ভোগেন বাসিন্দারা। বহু রাস্তা ঘাট, ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ফলে এখনও বিভিন্ন জায়গায় বন্যার ক্ষত লক্ষ্য করা যাবে। সেই পরিস্থিতির মধ্যে ফের মহকুমায় ঘূর্ণিঝড় ডানার দাপট আসছে চলেছে। তারফলে ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তাতে নতুন করে চাষ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে চাষি মহলে। এমনিতেই মহকুমার একাংশে বন্যা পরিস্থিতির জেরে আমন ধান ও সব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডানার জেরে ফের অন্যান্য এলাকার ধানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পুরশুড়ার চাষি পীযূষ পাঁজা বলেন, আমাদের জমিতে ধান পাকতে এখনও দিন ১৫ সময় লাগবে। এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় হলে ধান পড়ে যেতে পারে। বৃষ্টি হলে জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাবে। তারফলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অবস্থায় আমাদের কিছুই করার নেই।
গোঘাটের চাষি প্রদীপ মণ্ডল বলেন, আর কিছুদিন সময় পেলে ধান পেকে যেত। কিন্তু এমন অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কার খবর পেয়ে আতঙ্কিত।
হুগলির উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মৃত্যুঞ্জয় মর্দনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে চাষিদের রাজ্যের তরফে দেওয়া প্রয়োজনীয় পরামর্শ সব ব্লকেই মাইকিং করে জানানো হচ্ছে। ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেলে তা কেটে খামারে তুলে নিতে বলা হচ্ছে। তারজন্য যন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার কথাও রাজ্য জানিয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির জল যাতে না দাঁড়ায়, সেইজন্য জমিতে নিকাশি নালাও করতে হবে।
হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী সব ব্লককেই সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলায়। তবে পরিস্থিতির বদল হলে তা সংশ্লিষ্ট জায়গায় বলা হবে। ঝড়বৃষ্টির জেরে ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। আরামবাগের কালীপুর মাঠ থেকে শাহের সভার মঞ্চ তৈরির সামগ্রী তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র