উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
সাইবার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসিএলের উচ্চ বেতনের এক চিকিৎসক শেয়ারে বিনিয়োগ নিয়ে আগ্রহী হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখে লগ্নি করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে তাঁকে যুক্ত করা হয়। সেখানে আলোচনা হতে থাকে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিনিয়োগের টাকা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায়। বিনিয়োগ করার পর তাঁকে একটি অ্যাপ ডাউন লোড করার লিঙ্ক দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, তাঁর টাকা কীভাবে দ্রুত বাড়ছে। দফায় দফায় ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন ওই চিকিৎসক। তারপর টাকা তোলার জন্য চাপ দিতেই ওই গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই ঘটনার তদন্ত করে পুলিস জানতে পারে টাকা গিয়েছে পাঁচটি অ্যাকাউন্টে। কোনওটি মহারাষ্ট্রে, কোনওটি রাজস্থানে, কোনওটি আবার দিল্লিতে। বেশিরভাগে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে আবার দেশের অন্য রাজ্যের অ্যাকউন্টে টাকা চলে যাচ্ছে। এভাবেই হাতিয়ে নেওয়া টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘুরে শেষে দুবাই একটি অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। সেখানে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমেই এই প্রতারণার জাল বোনা হয়েছে। শুধু ইসিএলের চিকিৎসক নয়, সম্প্রতি এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থার কর্মীও প্রতারিত হয়েছেন। তাঁর ৬৬ লক্ষ টাকা এইভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। উচ্চ বেতনের এক ডিএসপির কর্মী ৩৫ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। এমনকী এক আইনজীবীও এই সাইবার প্রতারকদের শিকার। তাঁর খোয়া গিয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। সাইবার থানার এক অফিসার জানান, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর দ্রুত অভিযোগ এলে টাকা ফেরানোর একটা সুযোগ থাকে। টাকা একবার দুবাইয়ে তোলা হয়ে গেলে ফেরানো অসম্ভব।