উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
জেলার রাজনৈতিক মহলের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যেই জিতুক না কেন ব্যবধান কম থাকবে। অথচ ফল বেরতেই দেখা যায় প্রথম রাউন্ড থেকেই তৃণমূল প্রার্থী ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। শেষে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী এক লক্ষ ৩৭হাজার ৯৮১ ভোটে জয়ী হয়েছেন। শাসকদলেরও অনেকেই এই ফলাফল দেখে অবাক হয়ে যান। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, মানুষ বিজেপির দম্ভ, অহংকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
বিজেপির অনেকেই মনে করছেন, দলের একাংশের সাবোতাজ ছাড়া কখনোই এত খারাপ ফল হতে পারে না। প্রচারে প্রথম থেকেই দিলীপবাবু সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। যেখানেই প্রচারে গিয়েছেন সেখানে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। কিন্তু তার ফল ইভিএমে পাওয়া যায়নি। এমনকী যেসব এলাকায় বিজেপির সংগঠন ভালো রয়েছে সেখানেও তারা ফল পায়নি। দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অনেক বেশি লিডের প্রত্যাশা ছিল। সেই ইস্পাতনগরীতেও বিজেপি ভালো ফল করতে পারেনি। দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল লিড পেয়েছে। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে রয়েছে। এখান থেকে বিজেপি মাত্র ১১হাজার ৬৮২টি লিড পেয়েছে। ২০১৯ সালে এই দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রই বিজেপির জয় নিশ্চিত করে দিয়েছিল। ৭০হাজারের বেশি ভোটে তারা সেবার লিড পেয়েছিল। দুর্গাপুরে এত খারাপ ফল হওয়ার পিছনে অন্তর্ঘাত কাজ করেছে বলেই অনেকেরই দাবি। দলের আরেক নেতা বলেন, ভোটের প্রচারে প্রথম থেকেই দিলীপবাবু তাঁর নিজের টিম ময়দানে নামিয়েছিলেন। মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪পরগনা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা এসেছিলেন। তাঁরা স্ট্র্যাটেজি ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বুথস্তরে জেলার নেতা এবং কর্মীরা কাজ করেছিলেন। ভোটের দিন দিলীপবাবুর টিম ময়দানে ছিলেন না। জেলার নেতা-কর্মীদের উপরই দিলীপবাবুকে ভরসা করতে হয়েছিল। তবে নির্বাচনের দিন অনেকেই ময়দানে ছিলেন না। তা দেখে দিলীপবাবুও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। ভোট শেষে তিনি বলেছিলেন, অনেকেই কাজ না করে শুধু বিভ্রান্ত করেছেন। সাবোতাজের আন্দাজও প্রার্থী আগাম পেয়েছিলেন বলে অনেকেই মনে করছেন। দুর্গাপুরে একই জায়গায় তাঁর দু’দিন চা চক্রের আয়োজন করা হয়। সেদিনও তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। একই জায়গায় বারবার কেন তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নর উত্তর এখন পাওয়া যাচ্ছে বলে বিজেপির আদি নেতাদের দাবি।