ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
রূপেশবাবু বেলডাঙা পূর্ব সার্কেলের নপুকুড়িয়া নতুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রথম একবছর আপেল গাছের পরিচর্যা করতে হয়। বিশেষ করে শিকড়ের যত্ন নিতে হয়। কারণ আপেল গাছের শিকড় মিষ্টি স্বাদের হয়। ফলে তাতে উইপোকার আক্রমণ বেশি হয়। এছাড়া, গাছের পরিচর্যায় জলের উপর বিশেষ নজর রাখতে হয়। কাশ্মীরে আপেল চাষে অভিজ্ঞ পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে এনে সাগরদিঘিতে আপেল চাষ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। উষ্ণ ক্রান্তীয় জলবায়ুতে আপেল গাছ টেকাতে পারেনি সাগরদিঘি ব্লক প্রশাসন। বেলডাঙায় সেই কাজ করে দেখালেন রুপেশবাবু। তাঁর বাগানে সাড়ে তিন বছর বয়সের গাছগুলির উচ্চতা এখন ১০ ফুট। গত বছরই প্রতিটি গাছে অল্প সংখ্যক ফল এসেছিল। ফুল আসার সময় থেকেই তিনি পরিচর্যায় মন দিয়েছিলেন। এবার প্রতিটি গাছে ফলের সংখ্যাও অনেক বেশি। সাইজও বেশ ভালো। রূপেশবাবু জানালেন, সর্বোচ্চ ৩২০ গ্রাম ওজনের আপেল ফলেছে একটি গাছে। আপেল গাছে নিয়মিত জলসেচ করতে হয়। গাছের গোড়া যাতে শুকিয়ে না যায়, যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। রূপেশবাবুর ফল-ফুলের বাগানের শখ রয়েছে। আপেলের পাশাপাশি বাগানে রয়েছে পিচ, পার্সিমান (জাপানের জাতীয় ফল), অ্যাপ্রিকট। এবার লাগাবেন ব্লু বেরি। গত বছর এই বাগানে জাফরান ফলিয়েছেন তিনি।