কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তিনি মঙ্গলদা-মৌড় গ্রাম পঞ্চায়েতের রুকনি মোড় থেকে প্রচার শুরু করেন। পরে পঞ্চায়েতের খাতরা, ধানাড়া, রাগেরডি, দিকনগর, মঙ্গলদা, শিমড়া প্রভৃতি এলাকায় প্রচার করেন। পাশাপাশি বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরাগড়িয়া, লালপুর, গরুডি, তারাপুর, বাটমামনি এলাকায় রোড শো করেন। পঞ্চায়েত এলাকার বামড়রাতে একটি পথসভা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে পালাবদলের পরেও রঘুনাথপুর ২ ব্লকটি দীর্ঘদিন বিরোধীদের দখলে ছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল এককভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের সব আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। ছয়টি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি পঞ্চায়েত এককভাবে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বর্তমানে এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। একদা বাম ও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রঘুনাথপুর ২ ব্লক এলাকায় কার্যত তৃণমূলের কাছে বিরোধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পিচ রাস্তা নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে। ১৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে পাড়ার রুকনি থেকে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের করগালি পর্যন্ত নতুন করে পিচ রাস্তা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে চেলিয়ামা থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত পিচ রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে। এলাকার পানীয় জলের সমস্যার সমাধানে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
শান্তিরাম বাবু বলেন, মন্ত্রী থাকাকালীন এলাকায় প্রচুর উন্নয়নে কাজ করেছিলাম। আমাদের সময়ে রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আগামী দিনেও সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে রঘুনাথপুরজুড়ে জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরীর কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি রঘুনাথপুরজুড়ে কারখানা তৈরি করছে। রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকাতেও কারখানা তৈরি হবে। তৃণমূল সরকার যতদিন রয়েছে মানুষের সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। এদিন বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনের পরেই সমাধান করা হবে। নিজস্ব চিত্র