কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
কিন্তু কেন এলেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী? শোনা যাচ্ছে, আবহাওয়ার সমস্যার জন্য নাকি উড়তেই পারেনি মুখ্যমন্ত্রীর চপার। যা শুনে তৃণমূলের কটাক্ষ, স্বঘোষিত গেরুয়া ঘাঁটিতেও এবার চব্বিশের নির্বাচনে বিজেপির পতাকা উড়বে না। নির্বাচনের মুখে এভাবে ‘ফ্লপ’ প্রচার বিজেপির কাছে শুভ ইঙ্গিত নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এব্যাপারে সুকান্তবাবু অবশ্য বলেন, হেলিকপ্টারের সমস্যা ছিল। হেলিপ্যাডে যেহেতু জল জমে গিয়েছে, তাই আসতে পারেননি। হুগলির দু’টি জায়গায় সড়কপথে যাওয়া সম্ভব। তিনি সেখানে যাচ্ছেন। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল এখন সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য অনেক কিছুই করবে। মানুষ সবটা জানে।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত পাঁচটি পঞ্চায়েত বিজেপির শক্তিশালী ঘাঁটি বলেই পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে এই পাঁচটি পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ২৬ হাজার লিড পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কৃষ্ণনগর শহরে ২৮ হাজার লিড নেয় বিজেপি। এবারও উত্তর বিধানসভার শহর ও গ্রামে লিড পাওয়া নিয়ে প্রত্যয়ী পদ্মশিবির। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে বিজেপির প্রভাব অনেকটাই কমেছে এই এলাকায়। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে। অনেক আদি নেতা, যাদের কাঁধে ভর করে গোটা বিধানসভায় ৫০ হাজার লিড হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই ভোট ময়দানে নেই। সাংগঠনিক দৃঢ়তার বিষয়টি জোর গলায় বলতে পারবে না পদ্ম শিবির। এর মধ্যে রোড শোতে হিমন্ত বিশ্বশর্মার না আসার বিষয়টি বিজেপিকে কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আসলে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম থেকেই বিজেপির কোনও রোড শো কর্মী সমর্থকদের পছন্দমতো হচ্ছে না। এই ধারা শুরু হয়েছে অমিত শাহর কৃষ্ণনগরে আসার সময় থেকেই। সেবারও শহরের বুকে কার্যত ফাঁকা রাস্তায় রোড শো করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জ বিধানসভার দেবগ্রামে অর্ধেক রোড শো করেই বেরিয়ে আসেন। এদিন ভীমপুরে রোড শোতেই এলেন না হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, এবার হারবে জেনেই অসমের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর রোড শো বাতিল করেছেন। মানুষ বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ। সেটা ওদের নেতৃত্বও টের পাচ্ছে।