সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
নদীয়া জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, রাজ্যের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকা ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছি। তাতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই মতোই কোভিডের পরবর্তীতে ঢেউ আসার আগে জেলায় সমস্ত ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার কোনও সরকারি হাসপাতালেই বর্তমানে শিশুদের চিকিৎসার জন্য পিকু ইউনিটের পরিকাঠামো নেই। নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার কল্যাণী মেডিক্যালে ২৫বেড, কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ১০টি বেড, রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে ১০টি বেড, নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ১০টি বেডের পিকু ইউনিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, কল্যাণী এনএসএস কোভিড হাসপাতালেও বিশেষভাবে ২০টি বেডের একটি পিকু ইউনিট তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
দপ্তরের এক কর্তা বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই কথা মাথায় রেখে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এখন থেকেই খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। এমনকী, নির্দেশিকা অনুযায়ী আগস্ট মাসের মধ্যেই এই ব্যবস্থাকে চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। মূলত, পিকু ইউনিটে ১২বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের চিকিৎসা করা হয়।
এখনও পর্যন্ত জেলায় এধরনের ব্যবস্থা না থাকায় করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে চিকিৎসক মহল। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সংক্রমিত শিশু, কিশোর-কিশোরীদের জন্য জেলার একমাত্র কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক বিভাগকেই কোভিড পেডিয়াট্রিক বিভাগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক শিশু চিকিৎসক বলেন, জেলায় শুধুমাত্র একটি জায়গায় এই ওয়ার্ড রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে আক্রান্ত শিশুদের চাপ বেশি। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জেলার আরও কয়েকটি হাসপাতলে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো তৈরি হবে। তাতে সমস্যাও অনেকটাই কমবে।
এদিকে যে হাসপাতালগুলিতে পিকু ইউনিট খোলা হবে, সেখানকার ভবন, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, যাতায়াত ইত্যাদি বিষয়গুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতেও তৎপর হয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।