সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
যশের দাপটে জলোচ্ছ্বাসের জেরে দীঘা উপকূলে পূর্ব মুকুন্দপুর থেকে মৈত্রাপুর অংশে সমুদ্রবাঁধ ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় গঙ্গামন্দির থেকে তামিলি মাঠ এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশে রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেখানে সমুদ্রবাঁধের কোনও ক্ষতি হয়নি। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের উপকূলবর্তী কানাইচট্টা এলাকায় দেখা গিয়েছে, যেখানে ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে সেই অংশে বাঁধ অক্ষত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ কাদুয়া, জুনপুট, বিরামপুট এলাকায়। কয়েক বছর আগে কানাইচট্টা ছাড়াও দক্ষিণ কাদুয়া, জুনপুট ও বিরামপুট এলাকায় ম্যানগ্রোভের বলয় তৈরি করেছে বনদপ্তরের কাঁথি বিভাগ। আর এই ছবিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে উপকূল রক্ষার ক্ষেত্রে ম্যানগ্রোভের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কানাইচট্টার বাসিন্দা সূর্যনারায়ণ জানা বলেন, আমাদের এলাকায় অন্য দিক দিয়ে জল ঢুকেছে ঠিকই, কিন্তু যে অংশে ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে, সেই অংশে জল ঢুকলেও বাঁধের ক্ষতি হয়নি। ঘরবাড়িও রক্ষা পেয়ে গিয়েছে। সামগ্রিকভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য থাকায় আমরা ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়ে গিয়েছি। জেলা বন আধিকারিক অনুপম খান বলেন, ম্যানগ্রোভ অরণ্য উপকূলের মাটিকে ধরে রাখে। জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধ করে। সমুদ্রবাঁধের ক্ষতি আটকায়। ম্যানগ্রোভ নিজে ধ্বংস হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু এই ধরণের গাছ প্রকৃতিকে প্রাণপণ রক্ষা করবে। এসব কারণেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সৃষ্টির উপর এত জোর দেওয়া হয়। তিনি বলেন, যশ বিপর্যয়ের পরই উপকূল এলাকা জুড়ে ম্যানগ্রোভ রোপণের বিষয়ে রাজ্যস্তরের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বনদপ্তরের জায়গা ছাড়াও সমুদ্র উপকূল জুড়ে প্রচুর ম্যানগ্রোভ চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপকূলে কী ধরনের চারা উপযোগী, তা সমীক্ষা করে দ্রুত লাগানোর কাজ শুরু হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েই গোটা পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হবে।